বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনে আরও বৈচিত্র্যতা আনতে হবে। ক্রেতা আকৃষ্ট হয় এমন ডিজাইন উদ্ভাবন করতে হবে বলেন জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে (জেডিপিসি) বহুমুখী পাটজাত পণ্য প্রদর্শনী পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক (যুগ্মসচিব) গোপাল চন্দ্র দাশসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পাটমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাট ও পাটজাত পণ্যে ওপর অনেক গুরুত্ব দিয়েছেন। তা নিশ্চয়ই আপনারা সবাই শুনেছেন ও বুঝেছেন। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনোত্তর সরকার গঠনের পরে সরকার প্রধান হিসেবে যতগুলো বক্তৃতা দিয়েছেন তাতে পাটের ওপর খুব গুরুত্ব দিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের চামড়া শিল্পের ওপর ও তিনি অতীব গুরুত্ব দিয়েছেন। পাট সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা আপনারা গুরুত্বসহকারে নেবেন। বার্তাটি অনুধাবন করবেন। এটা আমি প্রত্যাশা করি।
তিনি বলেন, পাট আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য ছিল। কিন্তু আমাদের গর্বের পাট অনেকটা হারিয়ে গিয়েছিল। জুট মিলগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। জুটমিলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হাজার হাজার কর্মকর্তা, শ্রমিকরা এক অনিশ্চয়তার মধ্যে পরে গিয়েছিল। আদমজির মত জুটমিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে বর্তমানে টেকসই উন্নয়নের যুগে বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটপণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। পরিবেশবান্ধব পাটপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
নানক বলেন, পাটের ব্যবহার বহুমুখী করে তৈরি করা হচ্ছে শাড়ি, জুতা, ব্যাগ, পর্দার কাপড়, বেড কভার ইত্যাদি। আমাদের বিজ্ঞানীরা পাটের জীবন রহস্য উদঘাটনের মাধ্যমে পাটের তৈরি সোনালি ব্যাগ তৈরি করতে পেরেছেন। পাট থেকে সোনালি ব্যাগের উৎপাদন কত দ্রুত করা যায় সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমেই পাটশিল্পকে আমরা লাভজনক করতে পারব।
মন্ত্রী বলেন, পাটশিল্পের বেসরকারি খাতের উদ্যোগকে আরও উৎসাহিত করা হবে। আমি মনে করি, আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে সফল হতে পারব। আমি আপনাদের বলতে পারি, আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। আমি পাট শিল্পকে এবং বেসরকারি খাতের উদ্যোগকে উৎসাহিত করার জন্য যা যা করণীয় তাই করা হবে। আপনাদের কর্মচাঞ্চল্যতা, মেধা মস্তিষ্কের সম্মেলনে পাটপণ্যকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের এক নম্বর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে সক্ষম হব। এটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বার্তা। এ বার্তাটি বাস্তবায়নে আমরা প্রাণান্তর চেষ্টা করব।