সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করা এবং রাজনৈতিক ভুলধারায় চলাতে বিএনপির অপমৃত্যু ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুর টাউনহলস্থ বিজ্ঞানী ড. এম ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি পাঠাগারে ড. এম ওয়াজেদ মিয়ার ৮২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, রাজনৈতিক ভুলধারায় চলার কারণে নিশ্চিত একটি গহ্বরে নিমজ্জিত হতে হয়। এই সত্যকে তারা (বিএনপি) স্বীকার করবে কি না আমার জানা নাই। তবে এটুকু বলতে পারি, স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে যারা এভাবে অরাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন-নিপীড়ন, সন্ত্রাস চালিয়ে রাজনৈতিক যাত্রা করেছিল মাঝপথেই তাদের (বিএনপি) রাজনীতির রাজনৈতিকভাবে অপমৃত্যু ঘটেছে।
তিনি বলেন, আদালতের মাধ্যমে মুক্তি পেয়ে বিএনপির মহাসচিবসহ মুক্তিপ্রাপ্ত নেতারা এখন তাদের আত্মসম্মান ও আত্মমর্যাদা রক্ষার জন্য বড় বড় কথা বলছেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামাত এই দেশে ২০১৪-১৫ সালে যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, যে অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়েছে, মানুষ হত্যা করেছে, হরতাল অবরোধ করে জনজীবনকে বিপর্যস্ত করার চেষ্টা করেছে, অবরোধের নামে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রাকে ব্যাহত করতে চেয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙালি অটুট ছিল, তারা ঐক্যবদ্ধ ছিল আর ঐক্যবদ্ধ ছিল বলেই মির্জা ফখরুল, আমির খসরু সাহেব আপনারা জনগণকে সম্পৃক্ত করে কোনো আন্দোলন করতে পারেন নাই। এই ব্যর্থতার কারণে আপনাদের তওবা করে রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়া উচিত। আর এদেশে যদি রাজনীতি করতে হয় তাহলে এই খুন, ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার, এসব খুনের দায় স্বীকার করে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
বিজ্ঞানী ড. এম ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতিচারণ করে পাট মন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞানী ড. এম ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশকে একটি বিজ্ঞানভিত্তিক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন। উনার মতো সৎ, নির্লোভ একজন বিজ্ঞান-সাধক মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। তিনি ক্ষমতার খুব কাছাকাছি থেকেও কোনো সুযোগ সুবিধা নেননি। তিনি সর্বদা নিজস্ব বলয়ে থেকে নিজের যোগ্যতায় নিজ কর্মক্ষেত্রের পরিধিকে স্বতন্ত্র রেখে কর্মজীবন শেষ করেছেন।
এ সময় পাটমন্ত্রী বিজ্ঞানী ড. এম ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি পাঠাগারে সায়াম-উর রহমান সায়াম স্মৃতি কর্নার উদ্বোধন করেন।
আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুন্নাহার লাইলী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, যুব মহিলা লীগের সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজী, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ উপস্থিত ছিলেন।