আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনসহ সারা দেশে একযোগে ২৩৩টি স্থানীয় সরকারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনগুলো মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, এখানে উল্লেখ করার বিষয় হচ্ছে, এই নির্বাচনকে ঘিরে দেশে-বিদেশে অনেক অপপ্রচার হয়েছে। ভোটাদের টার্ন আউট নিয়ে অনেক অপবাদ ছড়ানো হয়েছে। কেউ কেউ বিবৃতি দিয়ে নির্বাচনের ব্যাপারে বিতর্কিত তথ্য পরিবেশন করেছে।
সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকের প্রারম্ভিক বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রতি জনগণ আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে— এই ধরনের অপপ্রচার যারা করে, তাদের অপপ্রচারের বাস্তব কোনো ভিত্তি নেই। দেশের জনগণের নির্বাচন, রাজনীতির প্রতি ক্রমেই আগ্রহ বাড়ছে। স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে ভোটাদের টার্ন আউট প্রমাণ করে বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচন এবং গণতন্ত্রের ব্যাপারে তাদের আগ্রহ আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। আকর্ষণ আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাতে এদেশের গণতন্ত্র, নির্বাচন ব্যবস্থা নিরাপদ। এই কথাটি আজকে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে নির্বাচন সম্পর্কে দুই একটা কথা নিয়ে সমালোচনা করলেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা এবং তার সঙ্গে কাজ করার নিবিড়ভাবে যে ইচ্ছা বা আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছে, সেটা আমাদের বড় সম্পদ। এই সম্পদ শেখ হাসিনার নিজেই। তার কারণ আমাদের এই অর্জন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার পরিচালনা করছে। পৃথিবীর অন্যান্য রাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সুদৃঢ়।
তিনি আরো বলেন, আমরা বিদেশিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করি, বিদেশিদের নির্দেশে আমার রাজনীতি করি না। রাজনৈতিকভাবে চরমভাবে পরাজিত, বিপদগ্রস্ত বিএনপি। আজকে তাদের পায়ের তলার মাটি ক্রমেই সরে যাচ্ছে। তার দেশের মানুষকে বাদ দিয়ে বিদেশ থেকে ধরনা দেওয়া,বিদেশিদের কাছে নালিশ করা, দেশের জন্য তারা এমন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
“এদেশের নিরপরাধ মানুষ সরকারের নিপীড়নের স্বীকার হচ্ছে” মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই বক্তব্যের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, কোন নিরপরাধ ব্যক্তি এখানে নিপীড়নের শিকার হচ্ছে না। যারা অপরাধী, যারা অপকর্ম করে,যারা সন্ত্রাস করে, যারা আগুন সন্ত্রাসী জড়িত, জনগণের জান মাল রক্ষার্থে, জনস্বার্থে তাদের (সন্ত্রাসী) ছাড় দেওয়া সরকারের পক্ষে সম্ভব না। বিএনপি নেতাদের জেলে রাখা নিয়ে শীর্ষ নেতারা ক্রমাগত মিথ্যাচার করা যাচ্ছে।