জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের উত্থাপিত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের আনুষ্ঠানিক জবাব দিয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।
তারা বলেছে, দখলদার ইসরায়েল এবং মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে তারা স্থায়ী যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা চায়।
আরেক সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের সঙ্গে যৌথ বিবৃতিতে হামাস বলেছে, তারা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হতে ‘ইতিবাচকভাবে প্রস্তুত’ আছে।
নিরাপত্তা পরিষদে সোমবার যে প্রস্তাবটি পাস হয়েছে সেটিতে প্রথমে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে।
কাতার, মিসর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যারা হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতা করেছে তারা নিশ্চিত করেছে হামাস যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের জবাব দিয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দেওয়া এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, “গাজায় ‘যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ’ করতে হবে। আমাদের জবাবে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে ফিলিস্তিনিদের স্বার্থ এবং যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর।”
সশস্ত্র এ গোষ্ঠীটি আরও বলেছে, “যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ করতে ইতিবাচকভাবে কাজ করতে প্রস্তুত আছে তারা।”
এদিকে হামাসের জবাবের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, হামাস প্রস্তাবের জবাব দিয়েছে এটি একটি ‘সহায়ক’ বিষয় হবে। এছাড়া হামাসের প্রস্তাবটি আরও ভালো করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের বিষয়টি পুনরায় আশ্বস্ত করেছেন এবং পুরো বিশ্ব হামাসের জবাবের অপেক্ষায় রয়েছে।
গত মাসে যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাবটি প্রথম সামনে আনেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এতে বলা হয়, প্রথমে দুই পক্ষ ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাবে। এই সময় ফিলিস্তিনি বন্দি এবং নির্দিষ্ট ইসরায়েলি জিম্মিদের ছাড়া হবে।
এরপর দ্বিতীয় ধাপে গাজা থেকে ইসরায়েল তাদের সব সেনাকে প্রত্যাহার করে নেবে এবং দুই পক্ষ একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাবে। যেটি আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে।
আর এ বিষয়টি নিয়েই এখন হামাসের আপত্তি রয়েছে। তারা বলছে, যুদ্ধবিরতি শুরু হতে হবে ‘স্থায়ী যুদ্ধবিরতির’ নিশ্চয়তার মাধ্যমে।
দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্বীকার করেছেন তার মন্ত্রীসভা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটিতে সমর্থন জানিয়েছে। তবে সবাই এতে রাজি হয়নি।
সূত্র: বিবিসি