বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি আইনানুগ কাজের মাধ্যমে দেশের মর্যাদা বাড়ানোয় সৌদি আরবে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের অভিনন্দন জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
একইসঙ্গে প্রবাসীদের জন্য বিশেষ পেনশন স্কিম, অফশোর ব্যাংকিং এবং প্রবাসে ব্যবসায় মালিকানা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনাও দিয়েছেন সৌদি আরব সফররত এ মন্ত্রী।
শুক্রবার (২১ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালন এবং মহানবীর (সা.) রওজা শরিফ জিয়ারত শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মদিনার স্থানীয় একটি হোটেলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। সেখানে তিনি প্রবাসীদের অভিনন্দন জানান এবং দিকনির্দেশনা দেন।
আওয়ামী যুবলীগ, মদিনা শাখার সভাপতি জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, জেদ্দায় নিযুক্ত কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক ও স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিরা সভায় অংশ নেন।
সভায় হাছান মাহমুদ তার দীর্ঘ প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা এবং বিদেশে থাকাকালে দেশের জন্য মনের আকুতি তুলে ধরে বর্তমান প্রবাসীদের সঙ্গে একাত্মতা জানান।
তিনি বলেন, সৌদি আরবে প্রায় ৩০ লাখ বাংলাদেশি আছেন, বিশ্বের অনেক দেশের মোট জনসংখ্যাও এর চেয়ে কম। ৩০ লাখ প্রবাসীর বৈধপথে পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের জন্য বড় অবদান।এ বিষয়ে যত্নবান থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবাসীদের অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে মূল্যায়ন করেন উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, একজন প্রবাসী যত সহজে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছাতে পারেন, দেশের জেলা আওয়ামী লীগের কোনো নেতার পক্ষেও তত সহজে পৌঁছানো সম্ভব হয় না।
প্রধানমন্ত্রী প্রবাসীদের জন্য বিশেষ পেনশন স্কিম চালু করেছেন, যার সুবিধা ৫৫ বছর বয়সের মানুষও নিতে পারেন, প্রবাসীদের জন্য অফশোর ব্যাংকিং সুবিধা রয়েছে, যেখানে সহজে ডলার অ্যাকাউন্টও খোলা যায়, জানান তিনি।
প্রবাসে শুধু অন্যের প্রতিষ্ঠানে কাজ না করে ব্যবসায় মালিকানা অর্জনে উৎসাহ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি বলেন, প্রত্যেক প্রবাসীই বিদেশে তার দেশের প্রতিনিধি। তিনি যদি অপরাধ করেন, তবে তার দেশের বদনাম হয়। সে কারণে বসবাসের ক্ষেত্রে দেশের আইন-কানুন মেনে চলা উচিত।