বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। কিছু লোক পট-পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চাঁদাবাজি, দখলদারি, লুটতরাজ শুরু করছে। আমরা নিন্দা জানাই, ঘৃণা করি।
বুধবার (২১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার শাকপুরা মনোয়ার গার্ডেন কমিউনিটি সেন্টারের আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছর আওয়ামী লীগ যা করল, পট-পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে যারা একই কাজ করেছে, তারা আওয়ামী লীগের মতোই। আমরা এদের ভিন্নভাবে দেখি না। আমরা অনুরোধ করবো এগুলো বন্ধ করেন। হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে এই দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি, তা কলঙ্কিত করবেন না। যদি করেন জনগণই আপনাদের পাওনা মিটিয়ে দেবে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ২০০৯ সালে বিডিআর সদরদপ্তর পিলখানায় দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের হত্যার মাধ্যমে খুনের রাজনীতি শুরু করেছিল আওয়ামী লীগ সাড়ে ১৫ বছর বাংলার মসনদে ছিল, বাংলার জনগণ ঘৃণা করে ভোট দেয়নি, ২০১৪ সালে ভোটবর্জন, ২০১৮ সালে প্রত্যাখ্যান এবং ২০২৪ সালে প্রতিরোধ করেছে। এরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ার কারণে তাদের প্রতি কোনো দয়া-মায়া ছিল না।
জামায়াতের আমির বলেন, তারা অন্যায়ভাবে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল? আল্লাহতায়ালার অশেষ মেহেরবানি, শেষ পর্যন্ত ছাত্র-তরুণ-যুবকদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের তোড়ে তারা ভেসে গেছে আপনাদের স্মরণ থাকার কথা, আমাদের কলিজার টুকরো আল্লামা সাঈদীকে (র.) ইনজেকশনের মাধ্যমে শহীদ করা হয়েছে এবং নেতাকর্মীদের যুদ্ধাপরাধী বলে খুন করেছে। আল্লাহতায়ালা বিচার আমাদের চোখের সামনে দেখিয়ে দিচ্ছেন। আমাদের কোনো দায়িত্বশীল দেশ থেকে পালিয়ে যায়নি,আত্মহত্যা করা হারাম, তার চাইতেও জঘন্য হচ্ছে পালিয়ে যাওয়া।
পরে সব শহীদের রুহের আত্মার মাগফিরাত কামনায় জন্য দোয়া ও মোনাজাত করেন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ শাহজাহান, মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী, জাফর ছাদেক নজরুল ইসলাম,নুরুল আমিন, আনোয়ারুল আলম, ডা. খোরশেদ আলম, ডা. মু. আবু নাছের, ইমাম উদ্দিন ইয়াছিন, জাহাঙ্গীর আলম, মো. হারুন, আবুল মনসুরসহ জেলা উপজেলার নেতারা।