আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অগ্রগতি হয়েছে: আসিফ মাহমুদ

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। দ্রব্যমূল্যের জন্য সিন্ডিকেট একটা বড় সমস্যা উল্লেখ করে বিষয়টি সরকার নিবিড়ভাবে তদারকি করছে বলেও তিনি জানান।

রোববার (১৭ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অগ্রগতি বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, আপনারা জানেন যে, তিন মাস আগে আমরা কোন অবস্থায় ছিলাম, এখন কোন অবস্থায় আছি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। তবে যে পরিস্থিতিতে আমরা সরকারের দায়িত্ব পেয়েছি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একটা ভঙ্গুর অবস্থায়, পলাতক অবস্থায় ছিল। সেই অবস্থা থেকে এখন দৃশ্যমান পরিবর্তন হচ্ছে এবং সামনের দিনগুলোতে রিক্রুটমেন্ট এবং অনেক ভেহিকেল আসলে খোয়া গিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেগুলো সংস্কারের কাজ চলমান আছে।

দ্রব্যমূল্যের বিষয়ে তিনি বলেন, আসলে সিন্ডিকেট একটা বড় সমস্যা এবং আপনারা জানেন যে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একজন নতুন উপদেষ্টা নিয়োগ পেয়েছেন। তিনি যেহেতু ক্লোজলি বিষয়গুলো দেখছেন এবং ওয়ান বাই ওয়ান যে বিষয়গুলো যেমন আলুর দাম বেড়ে গিয়েছে। আবার শাকসবজির দাম বাড়ছে, যদিও আমাদের সাপ্লাই বেড়েছে তারপরেও দাম বাড়ছে। সেগুলো তিনি খুব ক্লোজলি মনিটর করছেন। আমাদের যে টাস্ক ফোর্স ছিল, সেই টাস্ক ফোর্স কিন্তু এখনো কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন জায়গায় জরিমানা করছে এবং মনিটর করছে। আমরা কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত যেন পণ্য পৌঁছে যায়, সেজন্য বিভিন্ন ফসলজাত পণ্য উদ্যোক্তাদের সাপোর্ট দিচ্ছি। প্রত্যেকটি বাজারের একটি কর্নারে কৃষি বাজার করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেটা বাস্তবায়নের পথে আছে। টিসিবির কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে। আশা করি সমস্যা হলে আমরা সমাধান করতে পারব।

আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, আরেকটা বিষয় আমি বলতে চাই, যখন উপদেষ্টা পরিষদে আমাদের ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে নেওয়া হয় তখন কনফিউশন ছিল যে, সদ্য গ্রাজুয়েট হয়ে আমরা আসলে কতটুকু মন্ত্রণালয় কিংবা সরকারে রান করতে পারব। আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ ছিল এবং চ্যালেঞ্জ এখনো আছে। আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জটা শুধু নিজেদের প্রমাণ করা নয় আমাদের চ্যালেঞ্জটা এই জেনারেশনকে প্রমাণ করার জন্য যে, আমরা এই তরুণ প্রজন্ম শুধু ডেস্ট্রাক্টিভ ওয়েতে (ধ্বংসাত্মক উপায়) গিয়ে একটা ফ্যাসিস্ট সরকারকে পতন ঘটাতেই পারি না, আমরা কনস্ট্রাক্টিভ ওয়েতে (গঠনমূলক উপায়) দেশ পুনর্গঠনে কাজ করতে পারি এবং আমরা দেশকে পলিসি লেভেলে (নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে) কিছু ভালো উপহার দিতে পারি।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয় সেই কাজের মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করতে চাই যে, আমাদের প্রজন্মে যারা আছে, আপনারা জানেন প্রাইভেট সেক্টরে আমাদের প্রজন্ম খুব ভালো করছে। সেখানে পরিবর্তনটা খুব দ্রুত হয়েছে। সেখানে যে যোগ্যতাতে নিয়ে আসা হয় কিন্তু পাবলিক সেক্টরে অনেক সময় যায় তরুণদের অংশগ্রহণ খুব কম। এটা একটা সুযোগ তরুণ প্রজন্মের নিজেদের প্রমাণ করার, বিভিন্ন সেক্টরে বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করার মধ্য দিয়ে। সুযোগটা যেমন আমাদের জায়গা থেকে আমরা এটা করার চেষ্টা করছি এবং তরুণ প্রজন্মের সবাই সেটা করার চেষ্টা করবে যার যার জায়গা থেকে।