বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব কোনো ধরনের হুমকির মধ্যে নেই বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ভারত ইস্যুতে কোনো উদ্বেগজনক আশঙ্কা নেই।তারা যা করছে আপনারা এর প্রতিবাদ করবেন এবং সত্যি ঘটনা প্রকাশ করবেন, সেই সময় ওদের মুখে চুলকানি পড়বে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর পূর্বাচল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মাল্টিপারপাস ট্রেনিং গ্রাউন্ডে ‘আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
সীমান্ত নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সীমান্তে উত্তেজনা নেই, সীমান্ত অন্যান্য সময়ের মতো স্বাভাবিক অবস্থায় আছে। তবে ভারতীয় মিডিয়া বাংলাদেশ সম্পর্কে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
তিনি বাংলাদেশের মিডিয়াগুলোকে সত্য খবর প্রকাশ করে ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচারের জবাব দেওয়ার অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, একটা দেশ অন্য দেশ নিয়ে কতটা নগ্ন ও মিথ্যা তথ্য প্রচার করতে পারে ভারতীয় মিডিয়া এর উদাহরণ।
আমরা যারা এই দেশে আছি সবাই একসঙ্গে এর প্রতিবাদ করবো।
সব রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছে, বিষয়টি কি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে? জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা যখন সবাই একসাথে হবো তখন অবশ্যই ইতিবাচক প্রভাব হবে। এতে করে আমরা সবাই একসাথে কাজ করবো, একসাথে প্রতিবাদ করতে পারবো। এটা খুবই ভালো দিক।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলাদেশ সম্পর্কে সাম্প্রতিক মন্তব্যের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, উনি মনে হয় ভুল করে বাংলাদেশের নাম বলে ফেলেছেন। আমার তো মনে হয় উনার দেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা প্রয়োজন, কেননা আপনারা দেখেছেন সেখানে সংখ্যালঘুদের (মুসলমানদের) কিভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে।
উপদেষ্টা বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সারা দেশে ৬২ হাজার ভলানটিয়ার তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে। ইতোমধ্যে তারা ৫৫ হাজারের অধিক ভলান্টিয়ারকে প্রশিক্ষণ প্রদান সম্পন্ন করেছে।
তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যদের পক্ষে এককভাবে বন্যা, ভূমিকম্প ইত্যাদি দুর্যোগ মোকাবিলা করা দুরূহ। এক্ষেত্রে ভলান্টিয়ার বা স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে তরুণদের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে ভূমিকম্পের ন্যায় ভয়াবহ দুর্যোগ মোকাবিলায় সব স্তরে স্বেচ্ছাসেবক এবং তাদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রশিক্ষিত ভলান্টিয়াররা নিঃস্বার্থ সেবার মাধ্যমে জনগণের বন্ধু হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে সমর্থ হয়েছে। সাভারের রানা প্লাজা ভবন ধস, চট্টগ্রামের বিএম কনটেইনার ডিপোর ভয়াবহ অগ্নিদুর্ঘটনাসহ দেশের বড় বড় দুর্ঘটনায় ফায়ার ফাইটারদের সাথে ভলান্টিয়াররাও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল।