বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমরা যারা একসঙ্গে আন্দোলন করেছি। আমরা চাই সবাই মিলে এমন একটা সরকার গঠন করতে, সেখানে সব মানুষ তাদের মতামত রাখতে পারেন। সবাই মিলে কাজ করতে পারি। বিএনপি নেতারা আন্দোলন করেছে, তবে একক বিএনপির আন্দোলন সফল হয়নি। আরও অনেকগুলো রাজনৈতিক দল এবং সমাজের প্রতিটি পেশার মানুষ একসঙ্গে নেমে এসেছিল বলেই স্বৈরাচার সরকার দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, আগামী দিনের রাষ্ট্র পরিচালনায় আন্দোলনকারী সব দলের যেন অংশগ্রহণ থাকে। আমরা সেজন্যই বলেছি, উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষের কথা। যারা সরাসরি রাজনীতিতে জড়িত নন, কিন্তু তারা দেশের জন্য কাজ করতে চান, রাষ্ট্র পুনর্গঠনে যুক্ত হতে চান। এর মধ্যে হতে পারে সাংবাদিক, হতে পারে চিকিৎসক, হতে পারে আইনজীবী, হতে পারে কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, ব্যবসায়ী বিভিন্ন পেশার লোক। তাদের প্রতিনিধিত্বের জন্য আমরা বলেছি, উচ্চ কক্ষ। যারা সেখানে যুক্ত হয়ে রাষ্ট্র বিনির্মাণে কাজ করতে পারবেন।
তিনি বলেন, দেশে এই মুহূর্তে রাজনৈতিক দল হিসেবে বড় দল বিএনপি। বিএনপির প্রতি মানুষের আস্থাও তাই বেশি। এই আস্থা আর সম্ভাবনাকে তখন আমরা সফল করতে পারব, যখন সকলকে ঐক্যমতে আনতে পারব। বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মতামত থাকবে। আমাদের এই ৩১ দফা শেষ না, বা পরিবর্তন করা যাবে না এমনটা নয়। অবশ্যই এটাতে পরিবর্তন করা যাবে। কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন বা দল যদি ভালো সাজেশন দেয়। সেটা আমরা সংযোজন করব। সব কিছুই করতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে। সবাইকে সাথে নিয়ে করতে হবে। সেজন্য আমরা জাতীয় সরকারের কথা বলেছি।
এর আগে তারেক রহমান সরাসরি প্রশ্নের উত্তর দেন। এ সময় তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রতি গ্রামে অন্তত তিনজন করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পল্লী চিকিৎসক নিয়োগ করা হব, যার ৭০ শতাংশই হবে নারী।
তারেক রহমান বলেন, জুলাই বিপ্লবে আহত-নিহতদের পরিবার এবং গত ১৬ বছরে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের যেসব নেতাকর্মী খুন, গুমের শিকার হয়েছে তাদের জন্য বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রীয়ভাবে সহযোগিতা করা হবে।