
টয়লেট মেরামতের প্রকল্প থেকে রড চুরির সময় হাতেনাতে শিক্ষার্থীদের কাছে ধরা পড়ল ঢাকা আলিয়ার জুলাই আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রভাবশালী ছাত্র সমন্বয়ক ওমর ফারুক ও তার সহযোগি সিফাত হাসান নামে ২ শিক্ষার্থী।
গত ৬ই জুলাই রোববার মেরামত প্রকল্পের রড চুরি করে বস্তায় ভরে নিয়ে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ধরা পরে তারা।পরে তাদের বিরূদ্ধে হল ও ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।অভিযুক্ত ওমর ফারুক ও তার সহযোগি সিফাত হাসানকে বহিষ্কার সহ উপযুক্ত শাস্তির দাবীতে অধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে শিক্ষার্থীরা।
স্মারকলিপির বরাতে জানা যায়,বিগত ০৬ জুলাই রবিবার বিকাল ৪টার আমরা চার জন (তানিম,ইসমাঈল, তাওহীদ, বাশার) ১০৩ নং রুমের সামনে ফুটবল আনার জন্য যাই। মসজিদের পাশে তখন আমরা একটা বিকট আওয়াজ শুনতে পাই, যেন উপর থেকে কিছু একটা পড়েছে। অত:পর আমরা এটা পর্যবেক্ষণ করার জন্য মসজিদের দিকে যাই।
তখন আমরা মসজিদের গেটে নক করি এবং কেয়ারটেকার আমাদেরকে বলে -“ওহ, তোমরা আসছো?” এটা শুনে আমরা বিস্মিত হই। তখন আমরা কেয়ারটেকারকে বলি – আমরা এখানে আসব আপনি কিভাবে জানেন? তখন তিনি বলেন, হলের ৩য় তলার ভাতিজা ফারুক কল দিয়ে বলেছে যে, তার লোক আসবে। তারপর আমরা মসজিদের ছাদে গেলে দেখতে পাই হলের ছাদ থেকে কয়েকজন ডাব পাড়তেছে। এর ঠিক কিছুক্ষণ পরে আমরা সবাই দেখতে পাই – হলের ৩৭০ নং রুমের সিফাত (ওমর ফারুকের রুমমেট) মসজিদে প্রবেশ করে তখন আমরা ভাবছি – সে ডাব নেওয়ার জন্য আসছে।
এ সময়ে আমাদের মধ্যের তানিম নিচে ছিল। তখন সে দেখে যে- সিফাত এবং কেয়ারটেকার মিলে একটা বড় রডের বস্তা বের করতেছে। সে বস্তা নিয়ে চলে গেলে আমরা চাচার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করি – রডগুলো কি মসজিদের? প্রতিত্তরে চাচা বললেন – এগুলো মসজিদের রড না। এগুলো হলের ছাদের উপর থেকে ফেলা হয়েছে। তৎক্ষনাৎ আমরা সবাই হলের ছাদে গেলে ছাদের উপরের টয়লেটের ছাদ ভাঙা দেখতে পাই। সেখানে কিছু মিস্ত্রী কাজ করতেছিল। আমরা উনাদের জিজ্ঞেস করলাম আপনারা কি এখান থেকে রড ফেলে দেওয়ার বিষয়ে কিছু জানেন? তখন মিস্ত্রী চাচারা বললেন – বেশ খানিকটা সময় আগে চার/পাঁচ জন মিলে রডগুলো বস্তায় ভরে নিচে ফেলে দিয়েছে।
আমরা বললাম – চাচা, আপনারা নিষেধ করেন নাই এ বিষয়ে? অত:পর মিস্ত্রীরা বললেন আমরা নিষেধ করা সত্বেও তারা জোর করে রডগুলো বস্তায় ভরে নিচে ফেলে দেয়। তখন আমরা মসজিদের কেয়ারটেকার চাচার ভাষ্য অনুযায়ী ৩৭০ নং রুমের সিফাত এবং ওমর ফারুকের ছবি তাদেরকে দেখালে তারা বলেন – “হ্যাঁ, এরাই। এদের সাথে আরো কয়েকজন ছিল।”
শিক্ষার্থীরা আরো জানায়,আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা মনে করছি এ ধরনের গর্হিত কর্মকান্ড প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতির জন্য দায়ী হওয়ার পাশাপাশি ঐতিহ্য ও ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করছে।এহেন অপকর্ম ভবিষ্যতে আরো বড় অপরাধের পথ প্রশস্ত করতে পারে বলে মনে করছি। আমরা বিশ্বাস করি – এ ধরনের কাজ মাদরাসার স্টুডেন্টদের মূল শিক্ষা তথা নৈতিকতা ও সততার পরিপন্থী।
মাদরাসা প্রশাসন এ বিষয়ে যথাযথ তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবে এবং ঢাকা আলিয়া মাদরাসার সম্পদের নিরাপত্তা জোরদার করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
উল্লেখ্য,আজ ৯ই জুলায় অধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে স্মারকলিপি।স্মারকলিপি গ্রহণ করেন মাদরাসার উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো আশরাফুল কবীর









