বিভাগ চাওয়া নোয়াখালীবাসীর যৌক্তিক দাবি: ব্যারিস্টার খোকন

বিভাগ চাওয়া নোয়াখালীবাসীর যৌক্তিক দাবি উল্লেখ্য করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, চট্টগ্রামের ওপর চাপ কমতে হলে নোয়াখালী বিভাগ ও বিমানবন্দর প্রয়োজন। এ জেলায় বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দর হলে অর্থনীতি আরও বৃদ্ধি হবে।

শনিবার নোয়াখালী ক্লাব-ঢাকা লিমিটেডের মিলনায়তনে নোয়াখালী জার্নালিস্ট ফোরামের (এনজেএফ) উদ্যোগে আয়োজিত ফল উৎসবে তিনি এ কথা বলেন।

খোকন বলেন, শুধু ঢাকা শহর নয় সারা বিশ্বে নোয়াখালীর মানুষ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। মানুষ বলে নোয়াখালীর মানুষকে চাঁদেও দেখা যায়। এ কথাটি এমনিতেই বলে না, আমাদের মধ্যে যে ধৈর্য ও পরিশ্রম সেটার কারণে এ কথা বলে। এসময় নোয়াখালীকে আধুনিক বিভাগ গড়ার অঙ্গীকারও তিনি।

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে চাঁদা না দেওয়ার অভিযোগে সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা হত্যার প্রতিবাদ জানান মাহবুব উদ্দিন খোকন।

তিনি বলেন, আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নিন্দা জানাই। একই সাথে এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে দ্রুত তাদের বিচারের দাবি করছি।

কেন আইন হাতে তুলে নিচ্ছে মানুষ, এমন প্রশ্ন রেখে অ্যাডভোকেট মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আমরা তো চার পাঁচ হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছি, বহিষ্কার মানে কি দায় স্বীকার? মোটেও দায়ী স্বীকার না। আমরা তাদের বর্জন করলাম। আমরা আমাদের বিএনপি পরিবার থেকে তাদের বের করে দিলাম। দল থেকে বের করে দেওয়া মানে সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই, কিন্তু পুলিশ এসব লোকদেরকে গ্রেপ্তার করল না কেন তা জানতে চাই। তিনি বলেন, অপরাধ থাকতেই পারে। কিন্তু এদের গ্রেপ্তার করার দায়িত্ব সরকারের। সরকার কেন সে দায়িত্ব পালন করছে না?

দেশের বিভিন্ন থানাগুলোতে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির নেতারা ভিড় করেন, সন্ধ্যার পর থানার ভিতর আড্ডা মারেন উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের এ আইনজীবী আরও বলেন, কেন পুলিশ তাদের থানায় জায়গা দিবে। সরকার নিরপেক্ষ, তাই পুলিশকেও নিরপেক্ষ থাকতে হবে। কেন দলীয় লোকজন থানার ভিতরে গিয়ে সালিশ করবে। এগুলো অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। মব জাস্টিস বন্ধ ও ফেসবুকে গুজব ছড়ানো লোকদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান মাহবুব উদ্দিন খোকন।

এনজেএফের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস কে সৌরভের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক এফআই মাসউদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সালেহ মো. অলক, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মো. শহীদুল ইসলাম, নারী বিষয় সম্পাদক ফাতেমা কাউসার, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী জিএস সুমন, বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম বিএসআরএফের সহ-সভাপতি, সিনিয়র সাংবাদিক মাইনুল হোসেন পিন্নু, সিনিয়র সাংবাদিক হেদায়েত হোসেন, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদগণ।

এছাড়াও সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাধারণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে অতিথিরা বলেন, সাংবাদিকরা শুধু সংবাদ নিয়েই থাকে না জাতীয় উৎসবেও তাদের অবদান অনস্বীকার্য। আজকের এই দেশীয় ফলের আয়োজনের মাধ্যমে দেশীয় সংস্কৃতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে পড়বে। এ আয়োজনের জন্য নোয়াখালী জার্নালিস্ট ফোরাম-এনজেএফ, ঢাকার সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানান তারা। আর দেশীয় ফলের এ সমাহার দেখে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিসহ সবাই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

বাংলাভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি ও নোয়াখালী জার্নালিস্ট ফোরাম এনজেএফ ঢাকার সাধারণ সম্পাদক এস এম ফয়েজ বলেন, ব্যস্ত নাগরিক জীবনে সাংবাদিকদের এক টেবিলে মৌসুমি ফলের স্বাদ উপভোগ করার প্রয়াসে এনজেএফ ঢাকার এ আয়োজন। আনন্দ মুখর পরিবেশে এই ফল উৎসব সদস্যদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে, নিজেদের উপস্থিতির মাধ্যমে উৎসবকে প্রাণবন্ত করায় তিনি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।