আওয়ামীলীগের ২০ তম জাতীয় সম্মেলনের দিন রবিবার ও এরপর মঙ্গলবার মিলে দুই দফায় আওয়ামী লীগের ৮১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটির মধ্যে ৪৩ সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি রয়েছে আরও ৩৮ সদস্যের নাম। এর মধ্যে সভাপতিমণ্ডলীর তিন জন, দু’জন উপ-সম্পাদকসহ সাত জন সম্পাদক এবং ২৮ জন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। বাকি থাকা এই ৩৮ পদে সুযোগ পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের পদপ্রত্যাশীরা। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, সহ-সম্পাদক পদ ১০০ জনের মধ্যে সীমিত রাখা হবে। আগামী শনিবার বা রবিবারের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হতে পারে বলে আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মনোনীত করতে আগামী শুক্রবার সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠক ডাকা হয়েছে। ওই বৈঠকেই বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার পরপরই সভাপতিমণ্ডলী ও সম্পাদকমণ্ডলীর বাকি সদস্যসহ পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হবে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ৩৪ জন সম্পাদকমণ্ডলীর পদের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ ২৭টি পদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি সাতটি পদের মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, কৃষি ও সমবায়, পরিবেশ ও বন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, যুব ও ক্রীড়া, উপদফতর, উপপ্রচার ও প্রকাশনা পদে কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি। এ ছাড়া রয়েছে ২৮টি সদস্য পদ।
বাকি এই পদগুলোতে আলোচনায় রয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক একঝাক নেতা। যাদের নাম আলোচনায় রয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাবেক সভাপতি মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী, বাহাদুর বেপারী, লিয়াকত শিকদার, মাহমুদুল হাসান রিপন, এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মারুফা আক্তার পপি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবালুর রহিম, ইসহাক আলী খাঁ পান্না, অজয় কর খোকন, নজরুল ইসলাম বাবু, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব সাইফুজ্জামান শেখর, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, সিদ্দিকী নাজমুল আলম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শেখ হাসিনার ‘বিশেষ সহকারী’ মাহবুবুল হক শাকিল, জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপ্টন , কামরুল হাসান খোকন, রফিকুল ইসলাম কোতয়াল, বলরাম পোদ্দার, শাহজাদা মহিউদ্দিন, সফি আহমেদ, পনিরুজ্জামান তরুন, ইস্কান্দার মির্জা শামীম , গোলাম সারোয়ার কবির। এদের বেশিরভাগই বর্তমানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন।