যারা নৌকার বিরোধিতা করছে তারা ভবিষ্যতে নৌকা পাবেন না: শেখ হাসিনা
স্থানীয় নির্বাচনে দল ও নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন এলাকায় যেসব নেতা ও সংসদ সদস্য অবস্থান নিয়েছেন তারা ভবিষ্যতে নৌকা পাবেন না বলে হুঁশিয়ার করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী উষ্মা প্রকাশ করে বলেছেন আরও বেশি করে গ্রুপিং করুক নেতারা!
শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় গ্রুপিং-লবিংয়ে জড়িত নেতাদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে এসব কথা বলেন তিনি।
দলের সর্বস্তরে কোন্দল ও বিদ্রোহের মাত্রা বেড়েছে। ফলে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিভিন্ন এলাকায় দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি দেখা যায়। এজন্য ভরাডুবি হয় দলের সমর্থিত প্রার্থীদের। এখনই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এমন প্রসঙ্গ নিয়ে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
প্রধান শেখ হাসিনা জানান সারাদেশে যারা গ্রুপিংয়ে জড়িত আছেন তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরে দ্রুত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। এ জন্য দলের চার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদককে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাকে প্রধান করে চার যুগ্ম সাধারণকে নিয়ে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা দলীয় কোন্দল নিরসনে কাজ করবেন। এছাড়া, আগামী মে মাসে বার কাউন্সিল নির্বাচন দেখভাল ও তদারকি করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্যে উঠে আসে, পেশাজীবী সংগঠনগুলোর নির্বাচনেও কোন্দল ও বিদ্রোহের কারণে ভরাডুবি হয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনেও কোন্দলের কারণে পরাজিত হয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল বলে দাবি করেন তারা।
সভায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের পরাজয়ের কারণ জানতে চান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এবং সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের পরাজয়ের কারণ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। কাজী জাফরুল্যাহ’র নেতৃত্বে এ কমিটিতে রয়েছেন— যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মো. আব্দুর রহমান। কমিটিকে পরাজয়ের কারণ অনুসন্ধান করে দলীয় প্রধানের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
অন্যদিকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের পরাজয়ের কারণ অনুসন্ধান করার জন্য সংশ্লিষ্ট সাংগঠনিক সম্পাদকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়।