কোন্দল নিরসনে কাজ শুরু আ’লীগের তদন্ত কমিটির
আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-কোন্দল অনুসন্ধানে গঠিত কমিটি দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকদের কাছ থেকে মাঠের চিত্র সংগ্রহ করছে। আর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ অনুসন্ধানে পরাজিত প্রার্থী ও অংশীজনদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলছেন কমিটির সদস্যরা। গত মঙ্গলবার থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আওয়ামী লীগের কোন্দল নিরসনে গঠিত কমিটির একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে। গত ৩১ মার্চ দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি পরাজয়ের কারণ ও সারা দেশে দলের দ্বন্দ্ব-কোন্দল অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়।
কাজী জাফর উল্যাহর বনানীর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে মঙ্গলবার প্রথম বৈঠক করেন তাঁরা। এ সময় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে পরাজিত দুই প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলেন অনুসন্ধান কমিটির সদস্যরা। গতকাল বুধবারও কয়েকজন আইনজীবী নেতার সঙ্গে অনুসন্ধান কমিটি কথা বলে। এই নির্বাচনে মূল ভূমিকা পালনকারী নেতাদের পর্যায়ক্রমে ডাকা হবে বলে কমিটি সূত্র জানিয়েছে।
অনুসন্ধান কমিটি সূত্র জানায়, তৃণমূলের দ্বন্দ্ব সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার নেতাদের ডাকার বিষয়ে আলোচনা হয়। তবে এটা করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার এবং এতে কাকে ডাকা হবে আর কাকে বাদ দেওয়া হবে—এটা নিয়ে ঝামেলা হতে পারে। এ জন্য সাংগঠনিক সম্পাদকদের কাছ থেকেই তৃণমূলের চিত্র নেওয়া হচ্ছে।
কাজী জাফর উল্যাহ জানান, ৭ এপ্রিল থেকে সারা দেশের দলীয় কোন্দলের কারণ অনুসন্ধান করতে কাজ করবে কমিটি। ওইদিন দলের আট বিভাগের দায়িত্বে থাকা দলের সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সারা দেশের সবচেয়ে বেশি কোন্দলপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে ওইসব এলাকার নেতাদের ঢাকায় তলব করা হবে। তৃণমূলের ওইসব নেতার সঙ্গে কথা বলে কোন্দল মীমাংসায় চেষ্টার পাশাপাশি তাদের থেকে তথ্য সংগ্রহ করবে কমিটি। ওই সব তথ্য পর্যালোচনা করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কমিটি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রিপোর্ট জমা দেবে।