‘কোটা সংস্কার আন্দোলনে যেই জড়িত হোক, যেমন কুকুর তেমন মুগুর।’

 

সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্ব নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনে যেই জড়িত হোক, যেমন কুকুর তেমন মুগুর।’সোমবার সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউ বিআরটিএর ভ্রাম্যমান আদালত কার্যক্রম পরিদর্ষন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

এ নিয়ে শীর্ষ একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া চার জনের একজন শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং অপর তিন জন ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী।

বিএনপি আবারও যে নির্বাচনকে সামনে রেখে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে তার জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির রঙিন খোয়াব পাতালে উবে গেছে। তারা শুধু খোয়াবই দেখবে; আন্দোলন আর হবে না। আন্দোলনের আওয়াজ দিয়ে লাভ হবে না। মানুষ এখন নির্বাচনমুখী।তিনি বলেন: এরই মধ্যে সেমিফাইনাল খেলা শুরু হয়েছে। সামনে আরও পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন রয়েছে। এরপরই জাতীয় নির্বাচন। ফাইনাল খেলতে প্রস্তুত হওয়ার জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।

এসময় বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের জোট সংক্রান্ত মন্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এরশাদ সাহেব জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। কে কতো আসন পাবে সেটা আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে। এটা প্রকাশ্যে না বলাই ভালো। আর কতো গুলো মন্ত্রণালয়! এর জন্য তো আগে নির্বাচনে জয় লাভ করতে হবে। তারপর না নয় কে ক’টি মন্ত্রণালয় পাবে সে বিষয়ে আলোচনা করা যাবে।

তাহলে কি আগামী জাতীয় নির্বাচনে আবারও জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোট বাধবে আওয়ামী লীগ? এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন: জোট হবে কি হবে না, সেটা তো এখনই বলা যায় না। নির্বাচনের আগে আলাপ আলোচনা হবে, তারপর আমরা চিন্তা করবো কার সঙ্গে জোট করা যাবে।তবে, নির্বাচিত হতে পারবে না এমন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না বলে জানান কাদের।

এসময় তিনি রাজধানীর পরিবহন ব্যবস্থার চালচিত্র পরিদর্শন করে বলেন, আমাদের যে অর্জন তার সঙ্গে আমাদের পরিবহণ ব্যবস্থা অসামঞ্জস্য। এই জীর্ণ গাড়িগুলো আমাদের রিজার্ভ-জিডিপির সঙ্গে যায় না। বিদেশীরা দেশে এলে আমাদের লজ্জা্য় পড়তে হয়। এ বিষয়ে পরিবহন মালিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী।

চলমান মোবাইল কোর্টে মোট ৪০টি মোটরযানের উপর মামলা দায়ের করে ভ্রাম্যমান আদালত এবং ৭২ হাজার নগদ টাকা আদায় করা হয়।