ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দুটি উৎসবভাতা পেয়ে থাকেন মুক্তিযোদ্ধারা। আগামী বাজেটের পর জুলাই থেকে ১৬ ডিসেম্বর, ২৬ মার্চ ও পয়লা বৈশাখের উৎসবভাতা দেয়া হবে মুক্তিযোদ্ধাদের। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ লক্ষ্যে কাজ করছে। এমন তথ্য জানালেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
বৃহস্পতিবার পাবনা জেলার সুজানগর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন শেষে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
মোজাম্মেল হক বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা শুরু করা হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে এবং রাজধানী ঢাকার বিশেষায়িত হাসপাতালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় অর্থ বরাদ্দ দেবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেখান থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয় মেটাবে। প্রতিটি হাসপাতালে এ সংক্রান্ত একটি কমিটি মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা কার্যক্রম মনিটর করবে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, আগামী জুনের বাজেটে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি করা হবে। সেই সঙ্গে এ বছরই ৮ হাজার ফ্ল্যাট তৈরি করা হবে। যেসব মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িঘর নেই, তাদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও পোষ্যদের ৩০ শতাংশ কোটার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন।
সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজিৎ দেবনাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজু, স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, পাবনা জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন, পুলিশ সুপার জিহাদুল কবিরসহ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।