আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে দেখতে সিএমএইচের আইসিইউতে যান।
জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি ও মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপিসহ জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতারাও এ সময় হাসপাতালে ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের হাসপাতালে এইচএম এরশাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। পরে জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে এ নিয়ে আলাপ করেন।
এদিকে বারিধারায় এরশাদের প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসভবনে সোমবার সকাল থেকেই চলছে কোরআন তেলাওয়াত।
এর আগে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় বনানীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও তার ভাই জিএম কাদের জানান, তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তাকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা চিকিৎসায় সন্তুষ্ট। তবে তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার মতো অবস্থা এখনও তৈরি হয়নি। তিনি এরশাদের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান।
তার আগে সাবেক এই সেনা শাসককে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউতে) রাখা হয়েছিল। গত বুধবার থেকে সিএমএইচে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি।
জাতীয় পার্টি সূত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুর থেকে তার শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি ঘটে।
গত শুক্রবার তার ভাই জিএম কাদের এরশাদের জন্য দোয়া চান দেশবাসীর কাছে। তখন অবশ্য তিনি চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জানিয়েছিলেন, তার ভাইয়ের অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা ভালো।
৯০ বছর পার করা সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগে ভুগছেন। গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের আগে তিনি বিদেশ থেকে চিকিৎসা নিয়ে আসেন। এরপর নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে এরশাদ দলের উত্তরসূরী হিসেবে ছোট ভাই জি এম কাদেরকে নির্বাচন করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সামরিক শাসন জারির মাধ্যমে সেনাপ্রধান এরশাদ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হন। জিয়াউর রহমানের পথ ধরে তিনিও ক্ষমতায় থেকে গঠন করেন তার রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টি। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর গণঅভ্যুত্থানের কারণে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।