জাফর আহমেদ: জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তিতেই বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাস, কর্মকাণ্ড প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন ১৪ দলের নেতারা। প্রট্রোলবোমা মেরে মানুষের হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীজুড়ে বিশাল মানববন্ধনে এসব কথা বলেন বক্তারা। মানববন্ধনের আয়োজন করে আওয়ামী লীগের শরীক জোট ১৪ দল।
মানববন্ধনে আসা নেতারা বক্তব্যে বলেন, দেশের বতর্মান পরিস্থিতি কোনো রাজনৈতিক সঙ্কট নয়, পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেই চলছে বিএনপি । পাকিস্তানি হানাদারদের মতো পোড়ামাটি নীতি অনুসরণ করছেন খালেদা জিয়া।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ক্ষমতার জন্য খালেদা উন্মাদ হয়ে গেছেন। সাফ জানিয়ে দিতে চাই ২০১৯ সালের আগে কোনো নির্বাচন হবে না।
তিনি আরও বলেন, যেভাবে দেশের নিরীহ মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারছেন এর প্রতি ফোটা রক্তের হিসাব নেয়া হবে। অবশ্যই নির্বাচন ১৯ সালের একদিন আগেও হবে না। অবশ্যই সংলাপ হবে, সংলাপ হবে ২০১৯ সালে নির্বাচনের ইস্যু নিয়ে। আর সংলাপ হবে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অন্য কারও সঙ্গে না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি এখন যা করছে তা রাজনীতি নয়, সন্ত্রাস। রক্তপিপাসু খালেদা জিয়ার এখনো রক্তের পিপাসা মিটে নাই, এখনো তার লাশ চাই এ কারণে তার দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন মানুষ হত্যার।
শরীক দলের নেতা রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘মানুষ দগ্ধ হচ্ছে সেই দায়- দায়িত্ব খালেদা জিয়াকে নিতে হবে , এজন্য বিচারের সম্মুখীন হতেই হবে।
মানববন্ধন থেকে বিএনপি-জামায়াত জোটের নাশকতার বিরুদ্ধে আরো ঐক্যবদ্ধ ও সোচ্চার হতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান ১৪ দলের নেতারা।
অবরোধ-হরতালের নামে বিএনপি-জামাত ২০ দলীয় জোটের অব্যাহত সন্ত্রাস-নাশকতার প্রতিবাদে রাজধানীর গাবতলী থেকে যাত্রাবাড়ি জুড়ে বিশাল মানববন্ধন করেছে কেন্দ্রীয় ১৪ দল।
রোববার বিকেল ৩টা থেকে ৪টা, রাজপথে এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের সহিংস কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছে এই জোটের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবি সংগঠন ও সাধারণ মানুষ। মানববন্ধনের ১৩টি স্পটে অবস্থান নেন ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। বিএনপির সহিংসতার চিত্র বিভিন্ন ব্যানার-ফেষ্টুনে তুলে ধরে মানুষ পুড়িয়ে মারার প্রতিবাদ জানান নেতাকর্মীরা।