বিএনপি সশস্ত্র বাহিনীসহ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে অগণিত অর্থ ব্যয় করছে: হুইপ স্বপন

জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে রক্তস্নাত আত্মত্যাগের মহিমান্বিত কালের যাত্রার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী গড়ে উঠেছে। দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনী বাংলাদেশের গর্ব। আমাদের রাষ্ট্রীয় সীমানা ও অভ্যন্তরীণ শান্তির অতন্দ্র প্রহরী। দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটির সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনী অবিরাম অবদান রেখে চলেছে। আমাদের পুলিশ বাহিনীও মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরেই পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানায় বিজিবি ব্যারাক এবং সশস্ত্র বাহিনীর বাঙালি সৈন্যদের ব্যারাকসমূহে নৃশংস হামলা পরিচালনা করে।

আজ রবিবার (২ জুলাই) জয়পুরহাট-২ নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন বাজারে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় এবং কালাই, ক্ষেতলাল, আক্কেলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও সহযোগী সংগঠণসমূহের উপজেলা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে জঙ্গীবাদের প্রকোপের কালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসবাদ দমন করে বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রশংনীয় ভূমিকা পালন করছে। অভিজ্ঞ উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে পরিচালিত বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন অভিযাত্রায় সকল শ্রেণীপেশার মানুষের পাশাপাশি বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ বাহিনী, সিভিল প্রশাসন এবং সেবা সংস্থাসমূহ অসামান্য ভূমিকা পালন করে চলেছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ বাহিনী দেশের অভ্যন্তরে কাজ করার পাশাপাশি জাতিসংঘের নেতৃত্বে বিশ্ব শান্তি রক্ষায় অতীব প্রশংসিত কাজ করে দেশের জন্য সুনাম এবং বৈদেশিক মুদ্রা বহন করে আনছে। অগণিত সম্মানিত প্রবাসী বাঙালীর পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও পথচলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

হুইপ স্বপন বলেন, ১৯৭১ সালে ঢাকা সেনানিবাসে পাকিস্তানী সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার নিকট বাইয়্যাত গ্রহণকারী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি এবং তাদের বিটিম জামায়াত অগণিত টাকা ঢেলে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ বাহিনী ও সিভিল প্রশাসনের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর দেশপ্রেমিক সদস্যদের একটি
স্বপ্ন আছে, তারা জাতিসংঘ মিশনে গিয়ে একটি ভাল অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে জীবন সুন্দর করে সাজাবেন। বিএনপি- জামাত আজ তাদের পেটে লাথি মারার জন্য মরীয়া হয়ে উঠেছে। মুরব্বীদের পদলেহন করে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মরীয়া হয়ে তারা আজ দেশের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছেন।

তিনি বলেন, ইতিপূর্বে এই দেশবিরোধী অপশক্তি বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দেবার জন্য প্রবাসীদের ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ প্রেরণ বন্ধ করতে অপপ্রচার চালিয়েছেন। এখন জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশের বিচক্ষণ ও চৌকষ সেনাদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা, বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস আমদানী বন্ধ করার জন্য মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে লবিং করছে। তাদের দুঃখ যে, বাংলাদেশ তাদের পেয়ারের পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মত দেউলিয়া হচ্ছে না। তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তানের কাতারে নিয়ে গিয়ে দেশ ধ্বংস করার জন্য মরীয়া হয়ে উঠেছেন।

মত বিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মজিদ মোল্লা, আব্দুল রাবিক, আব্দুল কাদের মন্ডল, জাহিদুল আলম বেনু, অধ্যক্ষ মোকছেদ আলী, মিনফুজুর রহমান মিলন, মোস্তাকিম মন্ডল, সিরাজুল ইসলাম সর্দার, আহসান কবীর এবলব, ফজলুর রহমান, দেলোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেকুর রহমান, রাবেয়া সুলতানা, আতিকুর রহমান মিঠু, মশিউর রহমান, মোঃ আলী আকবর, রত্না রশীদ, হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।