সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগ ছাত্রলীগের
রাজনীতি মানে শুধু মিছিল, সভা-সমাবেশ করা নয়। রাজনীতি হলো সামাজিক ও সাংস্কৃতি ক্ষেত্রেও সমভাবে কাজ করা। কারণ দেশ ও সমাজের উন্নতিই রাজনীতির মূল কথা। কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সৈকত পরিচ্ছন্নতার যে উদ্যোগ নিলো তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
সোমবার সকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে আয়োজিত “আমাদের সমুদ্র রাখিব বিশুদ্ধ” এই শ্লোগানে সৈকত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান উদ্বোধকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক একথা বলেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক আরো বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত শুধু কক্সবাজারের নয়; এটি বাংলাদেশের সম্পদ। এই সৈকত উন্নত করতে পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ছাত্রলীগ পরিচ্ছন্নতার যে উদ্যোগ নিলেন তা প্রশংসনীয়। তবে আমি একটি কথা বলতে চাই, সৈকতে যদি ময়লা না ফেলা হয় তাহলে পরিস্কারের দরকার নেই। সৈকতে বিচরণ প্রতিটি মানুষ যদি নিজের ময়লাটি নিজে সংরক্ষণ করেন তাহলে একটি ময়লা কোথাও থাকবে না। এই সচেতনতা তৈরি করতে হবে। এই জন্য তাদেরকে ভদ্রভাবে বিষয়টি বুঝিয়ে সচেতনতা তৈরি করতে ছাত্রলীগকে উদ্যোগ নিতে হবে। নিজেরা সচেতন হবো এবং ময়লা ফেলবো না।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার-২ আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহামদ, জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার ড. ইকবাল হোসেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা, সহ-সভাপতি রেজাউল করিম।
সভাপতির বক্তব্যে ইশতিয়াক আহমেদ জয় বলেন, ‘সমুদ্র সৈকত আমাদের অমূল্য সম্পদ। এই সৈকত দেখতে আসছে দেশ-বিদেশের প্রচুর পর্যটক। তাদের ভ্রমণকে আনন্দময় করতে হলে সৈকতকে পরিচ্ছন্ন রাখা অবশ্যই প্রয়োজন। সেই দায়বদ্ধতা থেকে ছাত্রলীগ সৈকত পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্যোগের নিয়েছে। আমরা এই অভিযান শুধু শুরু করেই দায়িত্ব শেষ করবো না। প্রতিমাসেই একবার করে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হবে। ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিট পরিচ্ছন্নতা অভিযান অব্যাহত রাখবে।’
অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সভাপতি আয়েশা সিরাজ, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক আবু তাহের আযাদ, স্টুডিও মালিক সমিতির সভাপতি কাজী রাসেল, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন- সাধারণ সম্পাদক মারুফ ইবনে হোসাইন, উপ-দপ্তর সম্পাদক মইন উদ্দীন, শহর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসান ইকবাল রিপনসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী এ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশগ্রহন করে।