পুলিশ সশস্ত্র ক্যাডারদের নিয়ে ঢাবি রণক্ষেত্র তৈরী করে: ফখরুল
রাতে ছাত্রলীগের সশস্ত্র ক্যাডারদের সাথে নিয়েই পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা রণক্ষেত্র তৈরী করে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, অংশগ্রহণকারী হাজার হাজার আন্দোলনকারীদের দমাতে গতকাল রাতে পুলিশ সহিংস হয়ে ওঠে এবং তাদের ওপর বেপরোয়া লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। পুলিশী এই হামলায় অসংখ্য ছাত্রছাত্রী ও চাকুরী প্রার্থীরাসহ শতাধিক মানুষ গুরুতর আহত হয়।
সোমবার সকালে নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, সরকারী চাকুরীতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকুরী প্রার্থীরা বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। যেকোন ব্যক্তি বা সংগঠন তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোন বিষয়ে নিজেদের বঞ্চিত মনে করলে তা থেকে প্রতিকার পাওয়ার জন্য সোচ্চার হবেন-এটাই গণতান্ত্রিক অধিকার। আন্দোলনে যে কোটার বিষয়টি মূল প্রতিপাদ্য সে সমন্ধে এদেশের প্রায় চার কোটি শিক্ষিত যুবসমাজের জীবন-জীবিকার প্রশ্নটি জড়িত। এ সমন্ধে বিএনপি’র নীতি নির্ধারণী কমিটি সম্পূর্ণ অবহিত এবং বিষয়টি নিয়ে তাঁরা উৎকন্ঠিত। ফলশ্রুতিতে ইতোপূর্বে বিএনপি’র ভিশন-২০৩০-এ আমরা কোটার বিষয়টি স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ করেছি। আমরা জানি, এদেশকে সত্যিকারভাবে গড়ে তুলতে হলে মেধার কোন বিকল্প নেই। এই লক্ষ্যে স্থির থেকেও আমরা সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো যৌক্তিকভাবে বিবেচনায় এনে ভিশন ২০৩০-তে বলেছি যে, ‘মেধার মূল্যায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যথাযথ সংস্কার করা হবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নারী ও প্রান্তিক জাতি-গোষ্ঠির কোটা ব্যতিরেকে বাকি কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হবে।’
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার সমবেত মানুষের আওয়াজ শুনলেই শিহরিত হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে জনগণের চাহিদা ও দাবিকে তারা সবসময় পাশ কাটিয়ে কেবলমাত্র আওয়ামী চেতনার মানুষদের সংকীর্ণ স্বার্থে কাজ করে গেছে। গতকাল চাকুরী প্রার্থী ও ছাত্র-ছাত্রীদের যৌক্তিক দাবী আদায়ের আন্দোলনে বিনা উস্কানিতে পুলিশের বর্বরোচিত আক্রমণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।