বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া এখনও অনেক অসুস্থ। কিন্তু তাঁর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। এমন সময় ওবায়দুল কাদেরের এ ধরনের বক্তব্য ভয়ঙ্কর ইঙ্গিত ধারণ করে। তাই আমরা সরকারকে সাবধান করে দিতে চাই বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা না করা হলে এবং স্বাস্থ্যের যদি আরও অবনতি হয় তার পুরো দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। এবং যদি সরকারের দুর্বলতার কারণে অবহেলার কারণে বেগম খালেদা জিয়া আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাহলে দেশের জনগণ এ অপরাধের জন্য ক্ষমা করবে না।’
‘হায়াত-মউতের মালিক আল্লাহ তায়ালা’ খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্য নজরুল এ কথা বলেন।
রবিবার (২২ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিশিষ্ট চিকিৎসক সমাজ এর উদ্যোগে ‘বেগম খালেদা জিয়ার নিঃর্শত’মুক্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির অনুমতি ছাড়াই তাঁকে কিছুদিন আগে পিজিতে নেয়া হয়েছে। তাই যেকোনও হাসপাতালে বেগম খালেদা জিয়াকে নিতে পারেন। তাঁর জন্য কোনো অনুমতির দরকার হয় না। এই কারাগার সরকার পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে অনেক আগেই দাবি করে তিনি বলেন, ‘এই পরিত্যক্ত কারাগারের কারণেই ক্রমাগত বেগম খালেদা জিয়া বেশি করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘গত দুই দিন আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাসসহ আমি জেলখানার গেটে অপেক্ষা করেছি কিন্তু তারপর আমাদের জানানো হলো আজকে সাক্ষাৎ হবে না। আমরা বিস্মিত হয়েছিলাম যে, কী কারণ থাকতে পারে। এরপরের দিন তাঁর আত্মীয়-স্বজনরা দেখা করতে গেলেও তাঁদেরকেও গেটে বসিয়ে রেখে বলা হয় দ্বিতীয় তলা থেকে তিনি নিচে নামতে পারবে না। সে জন্য সাক্ষাৎ হবে না। অর্থাৎ তাঁর অসুস্থতার পরিমাণ এতই বেশি যে তাঁর আত্মীয়-স্বজনের সাথে সাক্ষাৎ করতে পারছেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেউ যদি অসুস্থ হয় তাহলে আমরা জানি, তার আত্মীয় বা ঘনিষ্ঠজনের সাথে সাক্ষাৎ করতে আরও আগ্রহ হয়। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া তাদের সাথেও সাক্ষাৎ করতে দেয়া হয়নি।’এই মানবিক পরিস্থিতি ও বাস্তব অবস্থার আলোকে বেগম খালেদা জিয়ার উপযুক্ত চিকিত্সার ব্যবস্থা করা হোক দাবি করে তিনি বলেন, ‘তাঁর নিজস্ব চিকিত্সককে দেখার সুযোগ করে দেয়া হোক। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁর চিকিত্সার ব্যবস্থা করা হোক।’
এছাড়া মানববন্দনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ড্যাবের সহ-সভাপতি ডা. রফিকুল ইসলাম লাবু, জাহানারা খাতুন প্রমুখ।