আদালত বিএনপি নেতাদের সাজা দিতে উঠে-পড়ে লেগেছে: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গণতন্ত্রের পক্ষে তরুণদের যে ঢল নেমেছে তাতে স্নায়ুবিক প্রতিক্রিয়ায় বিহব্বল ক্ষমতাসীন সরকার। এতে স্বৈরতন্ত্রের ক্রমাগত বিকাশ ঘটাতে আরও মরিয়া হয়ে উঠেছে সরকার। এখন চলছে নানা রকমের উদ্দেশ্য ও অভিসন্ধি। অবৈধ আওয়ামী সরকারের আদালত তাই উঠে-পড়ে লেগেছে বিএনপি নেতাদের সাজা দিতে।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভীর অভিযোগ, নতুন নতুন মিথ্যা মামলা ও গ্রেপ্তারের প্রবাহ আটকে নেই। কারাবন্দি নেতাদের দীর্ঘদিন কারাগারে আটকিয়ে রাখার জন্য প্রহসনের আইনি প্রক্রিয়াও তারা আর অবলম্বন করছে না। এখন গায়ের জোরে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের কারাগারে আটকে রাখা হচ্ছে। গ্রেপ্তারসহ রিমান্ডের নামে উৎপীড়ন এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের কপালের লিখন হয়ে গেছে।

সব মামলায় জামিন পাওয়ার পরেও এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশনা সত্ত্বেও যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্নাকে মুক্তি দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ রিজভীর।

তিনি বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে ব্যাক ডেট দিয়ে পেন্ডিং মামলায় মুন্নাকে আটকে রাখার পর আবারও উচ্চ আদালতে রিট করলে তাকে মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। মুন্না এ মুহূর্তে সব মামলা থেকে জামিনপ্রাপ্ত। অথচ তাকে কারাগার থেকে বের হতে দিচ্ছে না জেল কতৃর্পক্ষ। তারা বলছে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে মুক্তির নির্দেশনা না পেলে মুন্নাকে ছাড়বে না। এ ঘটনা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলেও মন্তব্য করেন রিজভী।

একতরফা নির্বাচন নিয়ে দাম্ভিক স্বার্থপরতার পক্ষে বিচারকরা কাজ করছে বলেও অভিযোগ রিজভীর। তিনি বলেন, সেজন্য তারা অত্যন্ত আন্তরিকতা সহকারে জোরেসোরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ইতোমধ্যেই বেশ কিছু নেতাকর্মীকে সাজানো মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। সাক্ষীদের শিখিয়ে পড়িয়ে তাদের জবানবন্দি নেওয়া হচ্ছে। সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে তাদের পুলিশ দিয়ে উঠিয়ে এনে জোর করে সাক্ষী দেওয়া হচ্ছে।