ডিমেরিট পয়েন্ট হলো এক ধরণের ‘নেগেটিভ মার্কিং’ যা একজন খেলোয়াড় বা কোনো স্টেডিয়ামের নামের পাশে যোগ করা হয়। আইসিসির নিয়মে দুই ধরণের ডিমেরিট রয়েছে। একটি হলো কোনো খেলোয়াড়ের অনিয়ন্ত্রিত আচরণের জন্য তার নামের সঙ্গে যোগ হয় অন্যটি কোনো মাঠের বাজে অবস্থার জন্য ওই মাঠকে দেওয়া হয়। এটা সংখ্যায় প্রকাশ করা হয়।
২০১৬ সালের ২২ সেপ্টেম্বর থেকে খেলোয়াড়দের ডিমেরিট পয়েন্ট ব্যবস্থা শুরু করে আইসিসি। বাংলাদেশের সাব্বির রহমান এই নিয়মের প্রথম ‘শিকার’ হন! খেলোয়াড়দের আচরণ সংযত রাখতে আইসিসি অপরাধের চারটি স্তর নির্ধারন করে দেয়। অপরাধের গুরত্বের উপর ভিত্তি করে এই স্তরগুলোকে সাজানো হয়েছে।
কোনো খেলোয়াড়ের প্রথম স্তর বা অপেক্ষাকৃত কম অপরাধের ক্ষেত্রে একটি বা দুটি ডিমেরিট দেওয়া হয়। এভাবে অপরাধের মাত্রা যদি বেরে দ্বিতীয় স্তরে যায় তাহলে ৩ থেকে ৪টি ডিমেরিট পাবে। এই পর্যায়ে চারটি ডিমেরিট পাওয়া একজন খেলোয়াড় নিষেধাজ্ঞার কবলে পরতে পারেন। ২৪ মাস সময়ের মধ্যে কোনো খেলোয়াড় ৪ পয়েন্ট ‘ডিমেরিট’ পেলে ২টি নিষেধাজ্ঞা পয়েন্ট যোগ হবে। এর ফলে এক টেস্ট কিংবা দুটি ওয়ানডে বা দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নিষিদ্ধ হতে হবে খেলোয়াড়কে।
আর অপরাধের মাত্রা ৩ স্তরের হলে যোগ হবে ৫ থেকে ৬টি পয়েন্ট। আর সর্বোচ্চ ৪ স্তরের অপরাধ কোনো খেলোয়াড় করলে তাঁকে ৭/৮ টি ডিমেরিট দেওয়া হয়। এমন অবস্থায় শাস্তির মাত্রা হয় আরও বেশি। ৮টি ডিমেরিট পাওয়া খেলোয়াড় ২টি টেস্ট এবং ৪টি ওয়ানডে অথবা টি-২০ ম্যাচে নিষিদ্ধ হন।
খেলোয়াড়দের পাশাপাশি কোনো ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বাজে অবস্থার জন্য সেই মাঠের নামের সঙ্গেও ডিমেরিট পয়েন্ট দেয় আইসিসি। এক্ষেত্রে মাঠের উইকেট, আউট ফিল্ড, গ্যালারী তথা অবকাঠামো ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে এই পয়েন্ট দেওয়া হয়। মাঠের ক্ষেত্রে আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী কোনো উইকেট বা মাঠ পাঁচ বছরের মধ্যে পাঁচটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে সেটি ১ বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়। আর এই সময়ের মধ্যে ১০ ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে ২ বছর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করতে পারবে না সেই স্টেডিয়াম।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, গড়পড়তার চেয়ে খারাপ পিচ হলে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয় সেই মাঠের বিপরীতে। বাজে পিচ হলে ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয় চারটি। অনুপযুক্ত হলে পাঁচটি। পিচ নিয়ে মোট ছয় ধরনের রেটিং আছে। এই ছয়টি রেটিং হচ্ছে যথাক্রমে: ১. ভেরি গুড (খুব ভালো), ২. গুড (ভালো), ৩. অ্যাভারেজ (গড়পড়তা), ৪. বিলো অ্যাভারেজ (গড়পড়তার চেয়ে খারাপ), ৫. পুওর (খারাপ), ৬. আনফিট (খেলার অযোগ্য)।