ইউসিজি’র অভিন্ন আর্থিক নীতিমালা প্রত্যাখ্যান জবি শিক্ষক সমিতির

মো.ফরহাদ হোসাইন, জবি প্রতিনিধি

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ‘অভিন্ন আর্থিক নীতিমালা ও হিসাব ম্যানুয়াল’ পালনের নির্দেশকে প্রত্যাখ্যান করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ‘জবি শিক্ষক সমিতি’।

মঙ্গলবার (২০ জুন) সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ.কে.এম. লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউজিসি কর্তৃক প্রণীত স্মারক নং-ইউজিসি/প্রশাঃ/১০৫ (১৬৪)/২০২৩/১৭০৭, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের জন্য ‘অভিন্ন আর্থিক নীতিমালা ও হিসাব ম্যানুয়াল’ প্রতিপালনের নির্দেশকে সর্বসম্মতিক্রমে জবি শিক্ষক সমিতি প্রত্যাখ্যান করছে। এছাড়া এ ধরণের নীতিমালা প্রতিপালনের নির্দেশকে জবি শিক্ষক সমিতি মানহানিকর ও ষড়যন্ত্রমূলক পদক্ষেপ হিসেবে মনে করে।

এমনকি ইউজিসি প্রেরিত নীতিমালা দেশের বর্তমান আর্থ-সামাজিক অবস্থাকে ধারণ করতে পারে নাই এবং একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের বর্তমান বাজার-ব্যবস্থা ও দেশের সামগ্রীক অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে এই নীতিমালা সাংঘর্ষিক। এই অভিন্ন নীতিমালা সরকারের উন্নয়ন ও অদম্য অগ্রযাত্রাকে অস্বীকার করছে এবং তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেশের উচ্চশিক্ষা প্রদানকারী বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে অস্থিরতা তৈরি করবে বলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মনে করে।

কী আছে নীতিমালায় : নীতিমালায় মূলত জাতীয় পে-স্কেলের আওতাধীন ব্যয় বাদে সম্মানি, ভাতা, পরিতোষিকের হার প্রস্তাব করা হয়েছে। যেমন : ভর্তি ও সেমিস্টার দুই ঘণ্টার পরীক্ষায় শিক্ষকদের সম্মানি ৮০০-১৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। চার বছরের অনার্স সম্মান কোর্সের ক্ষেত্রে দুই ঘণ্টার পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে ৬০ টাকা, তিন ঘণ্টার ক্ষেত্রে ৮০ টাকা, চার ঘণ্টার জন্য ১০০ টাকা ধরা হয়েছে। এক বছরের মাস্টার্স কোর্সের দুই ঘণ্টার পরীক্ষা খাতা মূল্যায়নে ৭০ টাকা, তিন ঘণ্টার ১০০ ও চার ঘণ্টার খাতার ১২০ টাকা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বৈঠকে সদস্যরা ৪০০০ থেকে ৪৫০০ টাকা নিতে পারবেন। এভাবে হিসাব পরিচালনা, উন্নয়ন বাজেট, আয় বৃদ্ধি ও নিয়ন্ত্রণ, বেতন-ভাতাদি পরিশোধসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যয়ের নীতিও প্রস্তাব করা হয়েছে।