‘নির্বাচনী বিধি ভেঙে’ শিক্ষার্থীদের কাছে ভোট চাইলেন বোয়ালমারীর কাদিরদী স্কুলের সভাপতি দেলোয়ার

নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন ঘোষিত দিন ও সময়সূচি ছাড়া কোনো ধরনের আগাম নির্বাচনী প্রচারণা নিষিদ্ধ। তবে এসবের তোয়াক্কা করেননি বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নে কাদিরদী দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন।

বুধবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে উচ্চবিদ্যালয়টির একটি কক্ষে শিক্ষার্থীদের সমবেত করে দেলোয়ার হোসেন ফরিদপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এবং দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমানের পক্ষে ভোটের প্রচার চালান। তার বার্তা অভিভাবকদের কাছে পৌঁছে দিতে বলেন।

দেলোয়ার হোসেন নিজের ফেসবুক আইডি থেকে এক ভিডিও পোস্টে বিষয়টি সম্প্রচারও করেন। চার মিনিট ১৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, দেলোয়ার কাদিরদী দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে তাদের মা-বাবাকে আব্দুর রহমানকে ভোট দিতে বলেন। নৌকার প্রার্থীকে ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করার আহবান জানান।

ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর সমালোচনা ঝড় উঠেছে। স্কুল শিক্ষার্থীদের নিকট এভাবে সরাসরি ভোট চাওয়া আচরণবিধি লঙ্ঘন বলেই অভিযোগ তুলেছেন সচেতন মহল। এছাড়া এখনো ভোটার না হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে নির্বাচনী প্রচার চালানো কতটা যুক্তিযুক্ত, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তারা।

কাদিরদী দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন আমানা গ্রপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্কুলের সকল শিক্ষার্থীদের ডেকেছিলাম। আমি তাদের কাছে একটা মেসেজ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তা হলো নৌকা প্রতীকে ভোট দিলে উন্নয়ন হবে, তোমরা (শিক্ষার্থী) তোমাদের অভিভাবকদের বলবে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে সবাই যেন নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়।

নির্বাচন কমিশনের বিধিবদ্ধ নিয়ম অনুযায়ী, অগ্রিম ভোটের প্রচার চালানোর সুযোগ নেই। প্রচার-প্রচারণার জন্য তফসিলে নির্ধারিত দিন ও সময় নির্ধারণ করা আছে। নির্ধারিত ওই সময়ের মধ্যেই শুধু নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সুযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর জেলার রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ‘নির্বাচন সংশ্লিষ্ট যেকোনো বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলেই আইন অনুযায়ী প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইন পরিপন্থী কোনো কাজ কাউকে করতে দেওয়া হবে না।’