ভোটের প্রার্থিতায় নামার পর থেকেই ফরিদপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলনকে নিয়ে সাধারণ জনতার আলোচনা চলছেই। ক্লিন ইমেজের দোলনের সঙ্গে গরীব-দুঃখীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের নিবিড় সম্পর্ক। ফলে প্রয়াত কাঞ্চন মুন্সীর সুযোগ্য উত্তরসূরি দোলনের ওপরই ভরসা রাখতে চান আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালীর মানুষ।
আরিফুর রহমান দোলনের পরিবার শতবছর ধরে ফরিদপুর অঞ্চলে সমাজসেবা করে আসছে। পারিবারিক এই চর্চাকে প্রাতিষ্ঠানিকতায় রূপ দিয়েছেন দোলন। প্রপিতামহের নামে তিনি গড়েছেন কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশন। দোলন এই সংস্থার মাধ্যমে মানবকল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে আসছেন।
জনসেবক দোলনের স্লোগান ‘মানুষের কাছে, মানুষের পাশে’। বাস্তবে এর প্রমাণও তিনি রেখে আসছেন গত দুই দশক ধরে। ফরিদপুর-১ অঞ্চলে জনসেবা ও সমাজসেবার নানা কর্মকাণ্ডের ফলে লাখো মানুষের মুখে দোলনের প্রশংসা।
আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালীর সাধারণ মানুষ যেকোনো সময় জনদরদী এ রাজনীতিককে সহজেই কাছে পান। সকলের জন্য তার দুয়ার উম্মুক্ত থাকে সবসময়। এমনকি যে কেউ অনায়াসে তার বেডরুমে ঢুকেও কথা বলতে পারেন।
ব্যক্তিজীবনে পরিচ্ছনন্ন ইমেজের দোলন মুরুব্বিদের শ্রদ্ধা-সম্মান, ছোটদের আদর-স্নেহ করতেও কুণ্ঠিত নন। জনপ্রতিনিধি না হয়েও গত দুই দশক ধরে এলাকার সামগ্রিক উন্নয়নে নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে আসছেন দানশীল পরিবারের সন্তান দোলন। মিশছেন সাধারণের সঙ্গে, শুনছেন তাদের সুখ-দুখের কথাও।
আরিফুর রহমান দোলন আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালীকে গড়তে চান বেকারমুক্ত, স্বাবলম্বী মডেল ও স্মার্ট জনপদ হিসেবে। সেই জন্য তিনি নিয়েছেন একগুচ্ছ উন্নয়ন পরিকল্পনা। দোলন এমপি নির্বাচিত হলে এসব পরিকল্পনার বাস্তবায়ন তরান্বিত হবে। এর ফলে বদলে যাবে তিন উপজেলার মানুষের জীবনমানসহ গোটা অঞ্চল।
ফরিদপুর-১ আসনে দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের কাছে স্বতন্ত্র এমপি পদপ্রার্থী আরিফুর রহমান দোলনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কোনো সংশয় নেই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক নেতারা। তারা বলছেন, মেধা, যোগ্যতা, জনসেবা ও পারিবারিক ঐতিহ্যের কারণে দোলন এমপি হলে সুফল পাবেন তিন উপজেলার মানুষ।
বোয়ালমারী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হান্নান মোল্লা বলেন, ‘আরিফুর রহমান দোলন দুই দশক ধরে নিরলসভাবে মানবসেবা করে আসছেন। তিনি পরীক্ষিত জননেতা। ৭ জানুয়ারি ভোটাররা তাকে যথাযথ মূল্যায়ন করবেন বলেই আমি বিশ্বাস করি।’
আলফাডাঙ্গা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক লীগের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘যখন জনপ্রতিনিধি ছিলেন না, তখন থেকেই দোলন জননেতা। তিনি এমপি নির্বাচিত হলে ফরিদপুর-১ আসনের তিন উপজেলা আমুল বদলে দেবেন। তিনি খুব ভালোভাবেই উচ্চ পর্যায় থেকে উন্নয়ন প্রকল্প এনে বাস্তবায়ন করতে পারবেন।’
মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. খুরশিদ আলম মাসুম বলেন, ‘আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসনে আরিফুর রহমান দোলন জনগণের মনোনীত প্রার্থী। জনগণই তাকে ভোটে বিজয়ী করে সংসদে পাঠাবেন।’
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিয়োদ্ধা রোকন উদ্দিন মাস্টার বলেন, ‘আরিফুর রহমান দোলন ইতোমধ্যে সর্বস্তরে পরীক্ষিত নেতা। তাঁর মতো জনদরদী, মানবকল্যাণী রাজনীতিক ফরিদপুর-১ আসনের এমপি হলে এটি মডেল জনপদ হবে। এলাকার উন্নয়ন হবে। মানুষের জীবনমান উন্নয়ন হবে। ৭ জানুয়ারি ভোটাররা দোলনের দুই দশকের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রতিদান দেবেন বলেই আমি বিশ্বাস করি।’