অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে ভোটকেন্দ্র কারচুপি, অনিয়ম ও পেশিশক্তিমুক্ত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে যশোর শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক অডিটোরিয়ামে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে বলেছি যেকোনো মূল্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন যাতে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয়। কোনো রকমের বিশৃঙ্খলা যাতে না হয়, পরিবেশ যাতে অনুকূল থাকে, ভোটার সাধারণ উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বাধীনভাবে যেন ভোট কেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। সব কর্মকর্তাকে এ বার্তা কঠোরভাবে দেওয়া হয়েছে।
সিইসি বলেন, আমরা কেউ ভোট কেন্দ্রের ভেতর থাকবো না। ভেতরে থাকবে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসাররা। ভোট কেন্দ্রের ভেতরে যাতে কোনো অনিময়, কারচুপি, দখলদারত্ব, কোনো রকমের পেশিশক্তির প্রয়োগ না হয়, সে বিষয়ে তাদের ব্যাপকভাবে প্রশিক্ষণ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
ঝিনাইদহের চারটি আসন ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকায় নৌকা প্রতীকের কর্মীদের হাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন এ বিষয়ে ইসির পদক্ষেপ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সিইসি বলেন, আজ সকালেই ঝিনাইদহে চারজন আহত হওয়ার মেসেজ নিজেই পেয়েছি, আমরা বিষয়টি আলোচনা করেছি। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনার পেছনে কে দায়ী তা নিরুপণ করে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে৷ আমরা দায়ী নিরুপণ করতে পারলে অবশ্যই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব এবং এ ধরণের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের কঠোর হতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উপস্থিত ছিলেন, নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গীর আলম, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার হেলাল মাহমুদ শরীফ, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মঈনুল হক, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনা মোজাম্মেল হক, যশোরের জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার, যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার।
বৈঠকে খুলনা বিভাগের ১০ জেলা ও ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ এবং রাজবাড়ী জেলার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর ২৯০ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।