ফরিদপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী দোলনের ব্যাপক গণসংযোগ, প্রতিদিনই বাড়ছে সমর্থন

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ফরিদপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান রহমান দোলন। রবিবার বোয়ালমারী উপজেলার চতুল উত্তরপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ করেন ঈগল প্রতীকের এ প্রার্থী।

আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালীর বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিনই এমপি পদপ্রার্থী দোলনের সমর্থনে পথসভা, কর্মী সমাবেশ হচ্ছে। এসব কর্মসূচিতে সর্বস্তরের হাজার-হাজার জনতা অংশ নিচ্ছেন। বলছেন, দোলনের কাছে তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা।

গণসংযোগে জনতার সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি ভোটারদের কাছে ঈগল প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন আরিফুর রহমান দোলন। তিনি এমপি নির্বাচিত হলে ফরিদপুর-১ আসনকে স্মার্ট ও মডেল জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে তাঁর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেন।

প্রত্যন্ত এলাকায় গণসংযোগের সময় হাজারো মানুষ দোলনকে দেখতে ছুটে আসেন। এসময় তারা ঈগল মার্কায় ভোট দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। স্থানীয় এলাকাবাসী তাদের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। দোলন ভোটারদের আশ্বস্ত করে বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে এলাকার সব সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবেন।

বিভিন্ন পথসভায় দেওয়া বক্তব্যে দোলন পবিত্র কাবা শরীফ ছুঁয়ে তাঁর শপথের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। বলেন, ‘আমি এমপি হলে প্রাপ্ত সরকারি ভাতা গ্রহণ করবো না। এই টাকা নির্বাচনী এলাকার হতদরিদ্র মানুষের কল্যাণে ব্যয় করবো।’

প্রচারের ৭ম দিনে চতুলের স্থানীয় জনতা আরিফুর রহমান দোলনের ঈগল প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্লোগানে স্লোগানে মুখর করে গোটা এলাকা। ‘৭ জানুয়ারি সারাদিন ঈগল মার্কায় ভোট দিন’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।

স্থানীয়রা বলছেন, গত নির্বাচনে নির্বাচিত এমপি এলাকার কোনো উন্নয়ন করেননি। এমনকি এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকায় তার চেহারাও দেখেননি। তাই এবার তারা ফরিদপুর-১ আসনের জনগণের নেতা আরিফুর রহমান দোলনকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।

ভোটের মাঠে নামার পর থেকে কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ঢাকা টাইমস আরিফুর রহমান দোলনের পক্ষে প্রতিদিনই গণজোয়ার তৈরি হচ্ছে। তিন উপজেলায় একের পর এক স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাঁর পক্ষে কাজ করার প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছেন।

কৃষক লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দোলন ক্লিন ইমেজ, জনসমর্থন আর সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতাসহ সব দিকেই এগিয়ে রয়েছেন। গত দুই দশক ধরে আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলায় নানান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে হেভিওয়েট প্রার্থী দোলনই এমপি নির্বাচিত হবেন বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।