লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে এনে বিচারের আওতায় নেয়া হবে। তাকে দেশে ফেরাতে ব্রিটেন সরকারের সঙ্গে ইতোমধ্যে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন লন্ডন সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে নিতে সক্ষম হব ইনশাল্লাহ। ফৌজদারি অপরাধের দায়ে তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
শনিবার স্থানীয় সময় বিকেলে লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার কেন্দ্রীয় হলে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ায় আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য শাখা প্রধানমন্ত্রীকে এ সংবর্ধনা প্রদান করে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে নিতে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে কথা বলেছি। মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হবার পরও সে কিভাবে লন্ডনে থাকে? আমরা তাকে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি।তিনি বলেন, তারেক রহমান দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে, আর এখন ব্রিটেনের রাজধানীতে বসেও একই ধরনের অপরাধ করছে, চিন্তা করে দেখুন কত বড় সন্ত্রাসী তিনি।
লন্ডন হাইকমিশনে বিএনপির সন্ত্রাসীদের ভাংচুরের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সন্ত্রাসীরা তারেক রহমানের নির্দেশে জাতির পিতার প্রতিকৃতিকে অসম্মান করেছে। আমি জানতে চাই তারা এ সাহস কিভাবে পেল? আমি জানি না সেদিন কে হাইকমিশনের দায়িত্বে ছিলেন এবং আমার প্রশ্ন কেন তারা সেদিন এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেননি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি প্রবাসী বাংলাদেশিদের বলবো আপনারা দেখেছেন কারা জাতির পিতার প্রতিকৃতিকে অবমাননা করেছে এবং তাদের উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করতে হবে। যারা জাতির পিতার প্রতিকৃতি ধ্বংস করেছে তাদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। বিএনপিকে দেউলিয়া দল হিসেবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তারা কিভাবে একজন পলাতক আসামিকে দলের চেয়ারম্যান মনোনীত করে। তারা আসলে দেশের ইমেজ ধ্বংসের মাধ্যমে দেশ ধ্বংস করতে চায়।