সৌদি আরব ও যুক্তরাজ্যে আট দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট সোমবার বেলা পৌনে ১১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। লন্ডনের স্থানীয় সময় রোববার রাত আটটায় হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি।
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাজমুল কাওনাইন হিথ্রো বিমানন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৫ থেকে ১৬ এপ্রিল সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের আমন্ত্রণে গাল্ফ শিল্ড-১ শীর্ষক একটি যৌথ সামরিক মহড়ার সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দু’দিন সৌদি আরব সফর করেন।সফরের দ্বিতীয় পর্বে প্রধানমন্ত্রী কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের সম্মেলনে (সিএইচওজিএম) যোগ দিতে গত ১৬ এপ্রিল লন্ডন যান। ১৯ এপ্রিল শেখ হাসিনা সিএইচওজিএমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র দেয়া আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনায় যোগদান করেন।
তিনি বাকিংহাম প্যালেসে কমনওয়েলথ সরকার প্রধান ও তাদের স্বামী/স্ত্রীদের সম্মানে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের দেয়া এক নৈশভোজ এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে ও কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ডের দেয়া সংবর্ধনায়ও যোগ দেন।
সফরকালে শেখ হাসিনা ওয়েস্টমিনিস্টারে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ কনফারেন্স সেন্টারে কমনওয়েলথ রাষ্ট্রসমূহের একটি নারী ফোরামে কন্যাশিশুর শিক্ষা সংক্রান্ত অধিবেশনে উপস্থাপক হিসেবে যোগ দেন।
তিনি যুক্তরাজ্যের মর্যাদাবান থিংকট্যাংক ওভারসিজ ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (ওডিআই) আয়োজিত বাংলাদেশের উন্নয়নে নীতি, অগ্রগতি ও সম্ভাবনা বিষয়ক একটি উচ্চপর্যায়ের অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে যোগ দেন।এছাড়া প্রধানমন্ত্রী এশীয় নেতৃবৃন্দের একটি গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য শাখা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে লন্ডনে তাকে এক সংবর্ধনা প্রদান করে।