বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অসাধারণ সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘দৃঢ় ও সাহসী’ নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার নয়াদিল্লিতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে এক বৈঠকে মোদি এ প্রশংসা করেন।
মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষদের আশ্রয় দিতে বাংলাদেশের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দেশ এ সঙ্কটের দ্রুত সমাধান চায়। রোহিঙ্গা সঙ্কটে বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থন রয়েছে বলেও জানান মোদি।ওবায়দুল কাদের সঙ্গে ৩০ মিনিটের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, পররাষ্ট্র সচিব বিজয় কে গোখলে, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে নিযুক্ত ভারতের যুগ্ম-সচিব শ্রী পিয়া রঙ্গনাথান ও দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবিশ কুমার।
বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল রোববার ভারত সফরে গেছেন।বাংলাদেশের এই প্রতিনিধি দলে আরো রয়েছেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনসহ প্রমুখ।
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের শুরুতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের কথা স্মরণ করে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নরেন্দ্র মোদি।বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা শেখ হাসিনার প্রশংসা করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নে পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে রয়েছে।’
প্রতিনিধি দলকে উদ্দেশ্য করে ভারতের এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের দেশের দিকে তাকান। সামাজিক-অর্থনৈতিক সূচকে আপনারা পাকিস্তানের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছেন।’বাংলাদেশ-ভারত তিস্তা নদীর পানি-বন্টন চুক্তি ইস্যুতে মোদি বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলকে আশ্বস্ত করে বলেন, এ সঙ্কট সমাধানে তিনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন।