আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১১ ও ১২ মে। এ উপলক্ষে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য আজ বুধবার থেকে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া চলবে তিন দিন।
আগামী ৪ মে পর্যন্ত ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করা যাবে। আর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে আগামী ৫ মে রাত ৮টা পর্যন্ত। ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
তবে এবার ভোট প্রক্রিয়ায় ছাত্রলীগে নেতৃত্ব বাছাই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এখন থেকে সিলেকশনেই আসবে ছাত্র ছাত্রসংগঠনটির নেতৃত্ব। বাংলাদেশ ছাত্রলীগদক্ষ, যোগ্য ও মেধাবী নেতৃত্ব আনার লক্ষ্যে ২০০৬ সালে ছাত্রলীগে ভোট প্রক্রিয়া চালু হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পরামর্শেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। দীর্ঘদিন সম্মেলনে এসে ভোটের মাধ্যমে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হয়। সারাদেশ থেকে আসা কাউন্সিলরা এই ভোটে অংশ নেন। সম্প্রতি তিনটি কমিটিতে দলীয় আদর্শের লক্ষ্যে পূরণ এবার ছাত্রলীগের নেতা নির্বাচনে আবার সিলেকশন পদ্ধতির দিকে ফিরে যাওয়া হচ্ছে। আসন্ন ২৯তম সম্মেলন থেকেই এটা কার্যকর হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের বড় একটি অংশও ভোট বিরোধী। ওই অংশটি গত তিনটি কমিটির কার্যক্রম তুলে ধরে ভোটে নেতা নির্বাচনের নানা কুফল শেখ হাসিনার সামনে তুলে ধরেন। তারা মনে করে, ভোট প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। ভোটের সুযোগটি কাজে লাগিয়ে নানা কৌশলে ব্যর্থ নেতৃত্ব বের করে আনা হয়েছে। তাই ভোট প্রক্রিয়া আপাতত বাদ দিতে আওয়ামী লীগ নেতারা শেখ হাসিনাকে পরামর্শ দিয়েছেন।আগামী ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে।