বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আসন্ন সম্মেলনে সমঝোতার মাধ্যমে উপযুক্ত মেধাবী ছাত্র নেতৃত্ব নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সমঝোতা না হলে প্রয়োজনে ভোটের মাধ্যমে এই নেতৃত্ব নির্বাচিত করা হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেধাবী নেতৃত্ব নিয়ে আসতে হয় সমঝোতা, না হয় ভোট হবে। ভোটের আবার ভালো দিকও আছে, মন্দ দিকও আছে।
বুধবার বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাম্প্রতিক সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ছাত্রলীগের কনফারেন্স যেভাবে হয়, হবে। আমাদের একটা নিয়ম আছে। ইতোমধ্যে কে কে প্রার্থী, তাদের কাছ থেকে প্রস্তাব এসেছে এবং ফরম ছাড়া হয়ে গেছে। সবাইকে নিয়ে বসা হয়। সমঝোতার চেষ্টা করা হয়। সমঝোতা না হলে ভোট হয়। সমঝোতা করে হবে বা আলোচনা করে হবে- এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। আর যদি সমঝোতায় না হয়, তাহলে ভোট হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভোটের আবার কিছু ভালো দিক আছে, মন্দ দিকও আছে। এটাও দেখতে হবে। আমরা চাই উপযুক্ত নেতৃত্ব ও ছাত্র। বয়সসীমা বেঁধে দেওয়া আছে। বয়সসীমার মধ্যে যারা সত্যিকারের ছাত্র, যারা মেধাবী, তারা যেন নেতৃত্বে আসে,সেটাই আমরা চাই। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা কাজ করব।’ আওয়ামী লীগই স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোট নেওয়া শুরু করেছিল বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।