ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বে আলোচনায় প্রিন্স

ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বে আলোচনায় প্রিন্স

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন আগামী ১১ ও ১২ মে অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামীলীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১৫ সালের ২৬ ও ২৭ জুলাই সাইফুর রহমানকে সভাপতি ও এস এম জাকির হোসাইনকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। গণতন্ত্র অনুযায়ী ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদ দুই বছর।
গত কয়েকটি সম্মেলনে ভোটের মাধ্যমে ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতা নির্বাচিত হলেও সে ভোট ছিলো লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। মূলত সিন্ডিকেট যাদের মনোনীত করেছে, তারাই নির্বাচিত হয়ে এসেছে, এমন অভিযোগ আছে।

ভোটে দিলে শেষ পর্যন্ত সিন্ডিকেটের কোনো প্রার্থীই বেরিয়ে আসবে এমন আশঙ্কা থেকেই আসন্ন সম্মেলনে যে ভোট হচ্ছে না, সে ব্যাপারে আগেই আভাষ পাওয়া গিয়েছিলো। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে দেওয়া বক্তব্যে সে ব্যাপারটি মোটামুটি নিশ্চিত এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে কেন্দ্রীয় এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের বিভিন্ন পর্যায়ের ৩৩০ জন নেতা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন, পলিটিক্সনিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার শাহজাদা ।

সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর থেকে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সহ শীর্ষ পদ পেতে বিভিন্ন মহলে বেড়েছে পদপ্রত্যাশীদের যোগাযোগ। ঐতিহ্য অনুযায়ী, ছাত্রলীগের সম্মেলনে নেতৃত্ব নির্বাচনে কয়েকটি বিষয় দেখা হয়। এর মধ্যে রয়েছে- পারিবারিক পরিচিতি, নিয়মিত ছাত্রত্ব, সংগঠনের জন্য ত্যাগ এবং এলাকা। এসব বিবেচনায় অনেকটা এগিয়ে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স । ইতিপূর্বে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জিয়া হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক , জিয়া হল ছাত্রলীগের সদস্য, সরকারী পিসি কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য (নোমান-অরুপ কমিটি) ,কাদিরখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছাত্রলীগের ক্রিড়া সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন ।

এদিকে যারা কথিত সিন্ডিকেটের সাথে যোগাযোগ রাখছে না , সিন্ডিকেটের আশীর্বাদপুষ্ট ব্যক্তিরা তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে ।  তাদের এই অপপ্রচার থেকে বাদ পড়ছেন না স্বচ্ছ ছাত্রনেতা মোতাহার হোসেন প্রিন্সও । প্রিন্স তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে পরিবারের পরিচিতি দিয়ে একটি পোস্ট করেন । সেখান থেকে জানা যায় তার পরিবারের সবাই আওয়ামী রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ।