বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ। তিনি বলেন, আজ বাঙালি জাতির আনন্দের দিন। এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতায় আরও একটি অনন্য মাইলফলক যুক্ত হয়েছে। ‘জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ এই স্লোগান বুকে নিয়েই মহাকাশে ঠাঁই করে নিয়েছে দেশের প্রথম স্যাটেলাইট। মহাকাশ জয়ের স্বপ্ন এবং বাস্তবায়নের সব কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলেও উল্লেখ করে দলের এই প্রবীণ নেতা।
বৃহস্পতিবার সকালে শেখ রাসেল স্কেটিং কমপ্লেক্স মিলনায়তনে “মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ নিরসন” শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এ কথা বলেন। সেমিনারটির আয়োজন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া উপ- কমিটি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মূল প্রবন্ধ পাঠকালে হারুন বলেন, মাদক সন্ত্রাস এখন বিশ্বজনীন সমস্যা। বিশ্বায়নের খোলা জানালা দিয়ে এ সমস্যা ছড়িয়ে পড়ছে দুনিয়াব্যাপি। আমাদের অস্বিকার করার সুযোগ নেই যে আমার দেশে মাদক নেই, সন্ত্রাস নেই, জঙ্গিবাদ নেই। এ সমস্যা দূরীকরণে বর্তমান সরকারের কোনো প্রচেষ্টার কোনো কমতি নেই বলেও দাবী করেন তিনি। তিনি বলেন, সর্বজনীন স্বীকৃত যে নির্মল বিনোদনের জন্য খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। সুস্থ দেহ, সুস্থ মন গড়ে তুলতে হলে খেলাধুলার ভূমিকা অপরিহার্য। জাতির প্রতি ভালোবাসা তৈরীতে খেলাধুলা একান্তভাবে প্রয়োজন। খেলাধুলা শৃঙ্খলবোধ ও অধ্যাবসায় শেখান।
ক্রীড়াঙ্গনে সফলতা তুলে ধরে হারুন বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতাসীন হওয়ার পর গত প্রায় এক দশকে ক্রীড়াঙ্গনে বড় ধরণের অগ্রগতি হয়েছে। একবার টি-টোয়েন্টিসহ টানা তিনবার এশিয়া কাপ ক্রিকেট, এস এ গেমস, আইসিসি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানসহ ১২টি খেলা, টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেট, শেখ কামাল বাস্কেট চ্যাম্পিয়নশিপ, হকিতে শিরোপা, আর্জেন্টিনা নাইজেরিয়া ফ্রেন্ডলি ফুটবল ম্যাচ, ফজিলাতুননেসা মুজিব আন্তর্জাতিক মার্শাল আর্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, এশিয়া কাপ হকি, ৩৯ দেশের রোলবল, এস এ গেমসের ১৮টি স্বর্ণ জয়, সিদ্দিকুর রহমান শিরোপা জয়, মহিলা কাবাড়ি ব্রোঞ্জ পদক লাল সবুজের দেশে এই সরকারের উন্নয়নের বিজয়।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষিত বেকার যুবকদের অস্থায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যে কর্মসূচীতে অন্তর্ভুক্ত একজন যুবক যুবনারী প্রতি মাসে ৬ হাজার টাকা কর্মভাতা পেয়ে থাকেন। এ পর্যন্ত ২৮টি জেলার ৬৪টি উপজেলায় প্রশিক্ষণ সমাপনীর সংখ্যা ১ লাখ ১১ হাজার ১১৬জন কর্মসংস্থান প্রাপ্তদের সংখ্যা ১ লাখ ৮ হাজার ৭শত ৮২জন বলে উল্লেখ করেন।
যুব ও ক্রীড়া উপকমিটির চেয়ারম্যান মোজাফফর হোসেন পল্টুর সভাপতিত্ত্বে আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত প্রমুখ।