বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে বিএনপির আবাসিক নেতা হিসেবে আখ্যায়িত দিয়ে আওয়ামী লীগ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মিথ্যাচারই বিএনপির রাজনীতির প্রতিপাদ্য বিষয়। তিনি বলেন, রিজভী পরিবারপরিজন ছেড়ে সবসময় পার্টি অফিসে থাকেন। এ কারণে বিএনপির নেতারাই তাকে আবাসিক নেতা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। আগে জানতাম তিনি কিছুটা পড়ালেখা জানেন। গতকাল রিজভীর বক্তব্যের কারণে আমার ধারণা পাল্টিয়ে গেলো। যারা মেমরেন্ডাম অফ আন্ডার এসট্যান্ডিং (এমইউ) আর চুক্তির পার্থক্য যারা বুঝে না। তাদের দায়িত্বশীল জায়গা থেকে কথা বলা উচিৎ।
সোমবার (১৩ মে) দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির রাজনীতিকে মিথ্যাচার উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন চীন, তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সামরিক ক্ষেত্রসহ অন্যান্য বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছিল এবং ভারতের সঙ্গেও সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত করেছিল। তখন তাদের কাছে কোনো সমস্যা হয়নি।
আওয়ামী লীগের এ মুখপাত্র বলেন, এ মাসের ৭ কিংবা ৮ তারিখে ভারতের সঙ্গে সরকারের কোনো (এমইউ) বা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। গতবছর ৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালীন কয়েকটি এমইউ স্বাক্ষর হয়েছিল। তার মধ্যে ছিল সামরিক খাতে সহযোগিতা করা। সহযোগিতার খাতে মাত্র ১ % সুদে ৫শ মিলিয়ন লোন দেয়ার এমইউ স্বাক্ষরিত হয় ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে। গত ৭ ও ৮ মে ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের সেই এমইউর আলোকে একটা গাইডলাইন নির্ধারিত করা হয়েছিলো। সেটাকে তারা যুক্তি হিসেবে প্রচার চালাচ্ছে।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, এ ধরনের এমইউ নতুন কোনো বিষয় নয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশ সরকার এই ধরনের এমইউ বিভিন্ন সময় করেছে। ২০০২ সালে বিএনপি চীনের সাথে সামরিক চুক্তি করেছিল। বিভিন্ন দেশের সাথে বিএনপি এ ধরনের এমইউ চুক্তি করেছিলো। এমনকি ভারতের সাথে সীমান্তে সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি করেছিলো। বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকার এ ধরনের চুক্তি করেছিলো। এটা একটি চলমান প্রক্রিয়া।
নির্বাচন আসলেই জনসম্মুখে বিএনপির ভারত বিরোধিতা করে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে কোনো ভারতীয় রাজনীতিবিদ আসলে তাদের সাথে দেখা করার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দেয়। প্রকৃতপক্ষে অন্তরালে বিএনপি ভারতের পক্ষ নেয়।
সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী ও উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ।