বিএনপির মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেন,খুলনা সিটিতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ভোট কেন্দ্রে ঢুকে দেদারসে সিল মারছে। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপির এজেন্ট ও ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।সকাল আটটা থেকেই এই ‘ডাকাতি’ চলছে বলে অভিযোগ বিএনপির । রিজভী বলেন, সেখাতে ‘কেড়ে নেয়া ধরে নেয়া, আটকে রাখা, রক্তাক্ত করা, ব্যালট বাক্স নিয়ে যাচ্ছে’, ‘এটা তো ডাকাতিরই চিহ্ন।’
সকাল আটটা থেকে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট শুরু হয়। আর রাজধানীতে দলীয় কার্যালয়ে বেলা ১০টার পর সংবাদ সম্মেলন করেন রিজভী।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া খুলনায় শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হওয়ার খবর এসেছে। তবে ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩০টি থেকে তার এজেন্টকে বের করে দেয়ার দাবি করেছেন বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। তবে তিনি অভিযোগ করেছেন এমন একাধিক কেন্দ্রে গিয়ে জানা গেছে, সেখানে ধানের শীষের কোনো এজেন্ট যাননি।
রিজভী বলেন, ‘আমরা যে আশঙ্কাগুলো করেছি, সকাল আটটা থেকে এরই মধ্যে সেগুলো প্রস্ফুটিত হয়েছে। সেই একই সন্ত্রাসের পুনঃরাবৃত্তি।’
‘ধানের শীষের মহিলা এজেন্টদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে বলা হচ্ছে তারা যেনো ভোটকেন্দ্রে না যায়। ভোট কেন্দ্রে গেলে তারা হেনস্থা হবে। আর পুরুষ এজেন্টদের ওপর হামলা চলছে।’
‘একই সাথে যারা ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত আছেন তাদেরকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে। অধিকাংশ কেন্দ্রেই এজেন্টরা ঢুকতে পারছে না।’
এই ‘হুমকিদাতারা’ সিংহভাগই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘আর তাদের সাথে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তো আছেই। নির্বাচনে জয়লাভ করতে তারা মরিয়া।’
‘আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের নৌকার এজেন্টদের নিরাপত্তা দিয়ে বলেছে আমরা বাইরে দাঁড়িয়ে আছি, তোমরা ভেতরে নৌকায় মার্কায় সিল দিতে থাকো।’
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘ক্ষমতাসীনদের কল্যাণে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে চিরাচরিত ভোট উৎসবের আমেজ নেই। ভোটারদের মনে শুধু শূন্যের হাহাকার। আওয়ামী সরকার এই ভোট উৎসবটাকে লাশের বাড়িতে পরিণত করেছে। অশান্তি আর নিগ্রহে ভরপুর খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন।’
শেখ হাসিনার আমলে নির্বাচন মানে ‘বিরাট ধাপ্পা’ মন্তব্য করে রিজভীর অভিযোগ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা খুলনায় ‘গ্রিক মূর্তির মতো নিশ্চল, নিথর, নির্বাক’ হয়ে আছেন।