মাদকবিরোধী অভিযানে ৭ জেলায় র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৮ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্তত ১১ জন সদস্য।কুষ্টিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে ২ জন। এতে পুলিশের ৫ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বিদেশি পিস্তল, এলজি, গুলি, ইয়াবা, হেরোইন ও গাজা উদ্ধার করে।
গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে জেলার অভিযুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী রাজু নিহত হয়েছে। এ সময় র্যাবের ২ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে বিপুল গাঁজা ও বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে র্যাব।
ফেনীতে মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে র্যাবের বন্দুকযুদ্ধের পর একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে একটি প্রাইভেট কার, বিপুল ইয়াবা, আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও গুলির খোসা উদ্ধার করে র্যাব। নিহতের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় মাদকসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
কুমিল্লায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৯ মামলার আসামি এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। সে সময় কোতয়ালী মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা সালাউদ্দিনসহ ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।জামালপুর সদরের ছনকান্দা মাদ্রাসা বালুঘাট এলাকায় পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় সদর থানার ওসি নাসিমুল ইসলাম আহত হয়ে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে বিদেশি রিভলভার, গুলি, ইয়াবা ও হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে।
রংপুরে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নগরীর হাজিরহাট এলাকায় অভিযান চালালে পুলিশের সঙ্গে মাদক ব্যবসায়ীর বন্দুকযুদ্ধে ঘটনাস্থলে অজ্ঞাত ওই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়। এ সময় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি রিভালবার ও এক বস্তা ফেন্সিডিল উদ্ধার করেছে।
মাদক নির্মূলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর দেশের বিভিন্ন জেলায় গত কয়েকদিনে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছে।