নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থার প্রশ্নে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করবে বিএনপি। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, কমিশন একটাই। আস্থা রাখলেও আসতে হয়, না রাখলেও আসতে হয়। তবে আমরা আরেকটি পরীক্ষার জন্য গাজীপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করছি। তারপর আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত নেবো।
মঙ্গলবার বিকালে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা কমিশনকে বলেছি রাজনৈতিক দলসহ সকলকে আস্থায় রাখা হচ্ছে আপনাদের দায়িত্ব। দেশের মানুষ যদি আপনাদের ওপর আস্থা না রাখেন, রাজনৈতিক দল যদি আস্থা হারায়, তাহলে আপনারা দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘খুলনা সিটি নির্বাচনের অনিয়ম লিখিত আকারে ইসিকে দিয়েছি। আমরা বলেছি, আপনাদের মুখে শুনতে চাই না ‘চেয়ে চেয়ে দেখলাম আমার বলার কিছু ছিল না।’ আমারা আপনাদের (ইসির) ক্ষমতা যেটা আছে সেটা প্রয়োগ দেখতে চাই।’
সিটি নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, যে নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হবে না সে নির্বাচনেও ভোটাররা যদি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারে, নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হয় তাহলে যে নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হবে সে নির্বাচনের বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কমিশনের সঙ্গে আমাদের আলোচনা সুন্দর হয়েছে। তবে অতীতের অভিজ্ঞতা সুখকর নয় ইঙ্গিত করে নির্বাচন কমিশনের প্রতি খেদ ঝেড়ে তিনি বলেন, ‘অতীতের মতো নির্বাচনের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করে হয়তো এবারও আক্ষেপ করতে হবে। আমরা সবসময় নির্বাচন কমিশনকে যা বলে যাই তা হয় না। বলি,পরে আক্ষেপ করি।’
বিএনপির প্রতিনিধি দল সিইসির সঙ্গে বৈঠকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এমপিদের প্রচারণার সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিনিধি দলে থাকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা কমিশনকে বলেছি, সংসদ সদস্যরা অত্যন্ত প্রভাবশালী। তারা প্রচারণার সুযোগ পেলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকবে না। কমিশন আমাদের বলেছেন, আপনারা ক্ষমতায় গেলে এ সুযোগ তো আপনারাও পাবেন। এর জবাবে বলেছি, আমরা এই সুযোগ চাই না। আমরা সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চাই।