প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের আউটরিচ অধিবেশনে যোগদানসহ কানাডায় চারদিনের সরকারি সফর শেষ করে আজ মঙ্গলবার রাতে দেশে ফিরেছেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের আউটরিচ অধিবেশনে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফর সঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটাস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট স্থানীয় সময় রাত ১১টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ফেরার পথে প্রধানমন্ত্রী দুবাইতে পাঁচ ঘন্টা যাত্রা বিরতি করেন।
প্রধানমন্ত্রী শনিবার কুইবেকের হোটেল লা মানোয়া রিচেলে অনুষ্ঠিত জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের আউটরিচ অধিবেশনে যোগ দেন।
তিনি অপর ১৬ জন বিশিষ্ট বিশ্বনেতার সঙ্গে বিশ্বের অর্থনৈতিক পরাশক্তি দেশ কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র এই ৭টি দেশের প্লাটফর্ম গ্রুপ অব সেভেন (জি-৭)-এর আউটরিচ অধিবেশনে যোগদান করেন।
তিনি হোটেল শতে ফ্রন্টেনেতে রোববার সকালে জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে এক বৈঠকেও মিলিত হন।
শুক্রবার শেখ হাসিনা জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন ও আউটরিচ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মানে কানাডার গভর্নর জেনারেলের দেয়া এক নৈশভোজেও অংশ নেন।
শেখ হাসিনা রোববার কুইবেক থেকে টরেন্টো ফিরে আসেন এবং ওইদিন বিকেলে কানাডা আওয়ামী লীগের এক সংবর্ধনা সভায় বক্তব্য রাখেন।
টরেন্টো সময় সোমবার সকালে মিয়ানমার বিষয়ক কানাডার বিশেষ দূত বব রে-এর সঙ্গে তার রিৎজ কার্লটন হোটেলে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
শেখ হাসিনা সাসকাতচেওয়ান প্রদেশের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং বাণিজ্য ও রফতানি উন্নয়ন মন্ত্রী গর্ডন ওয়েন্ট কিউ.সি, ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ক্যারিয়ার ট্রেনিং বিষয়ক মন্ত্রী জেরিমি হ্যারিসন এবং প্রদেশের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
টরেন্টো ত্যাগের পূর্বে প্রধানমন্ত্রী তাঁর হোটেলে কমার্শিয়াল কর্পোরেশন অব কানাডা (সিসিসি)’র প্রেসিডেন্ট ও সিইও মার্টিন জ্যাবলোকির সঙ্গে বৈঠক করেন।