দলের বর্ধিত সভার পর এবার তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আগামী ৭ ও ১৪ জুলাই দুই দফায় আট বিভাগের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বসার সম্ভাব্য তারিখও নির্ধারণ করেছেন আওয়ামী লীগ প্রধান। দলটির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, নির্বাচনকে উপলক্ষ করেই তৃণমূল নেতাদের সুসংগঠিত করা, নির্বাচনি প্রস্তুতি নিতে শেখ হাসিনা নির্দেশনা দেবেন। তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে চান শেখ হাসিনা। তাই বর্ধিত সভার আয়োজন। সংগঠনকে গতিশীল করা, দ্বন্দ্ব-কোন্দল নিরসন করাসহ আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার ব্যাপারে সরাসরি নির্দেশনা জানাতে এবার ওয়ার্ড, ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাদের ঢাকায় ডেকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একই উদ্দেশ্যে গত ২৩ জুন জেলা, থানা, মহানগর ও পৌরসভার নেতাদের ঢাকায় ডেকে বর্ধিত সভা করে নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী, গত ২৩ জুন জেলা, থানা, মহানগর ও পৌরসভার নেতাদের ঢাকায় ডেকে বর্ধিত সভা করে নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। ওই বর্ধিত সভায় রাজনৈতিক সুফল এসেছে। ফলে একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বর্ধিত সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শেখ হাসিনা। ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরাও এই বর্ধিত সভায় থাকবেন। তৃণমূল নেতাদের কথা শোনার পাশাপাশি নির্দেশনা দেবেন আগামী নির্বাচনের।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘দলের নেতাকর্মীদের গতিশীল করা ও আগামী সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নেতাকর্মীদের দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য দিতে আবারও বর্ধিত সভার আয়োজন।’ তিনি বলেন, এই বর্ধিত সভার সম্ভাব্য তারিখ ৭ এবং ১৪ জুলাই। প্রথম দফায় ৪ বিভাগের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বাকি ৪ বিভাগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন দলীয় প্রধান।’
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান বলেন, সংগঠনকে গতিশীল করতে এবং আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি কীভাবে নিতে হবে তৃণমূলের নেতাদের সে নির্দেশনা দিতে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে বর্ধিত সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা।
দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সংগঠনকে গতিশীল ও তৃণমূল নেতাদের উদ্বুদ্ধ করতে এই বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়েছে।