গাজীপুর সিটি নির্বাচনের কাজে ‘বাছাই করে দলবাজ’ পুলিশ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
সোমবার বেলা ১১ টায় নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।
এসময় রুহুল কবির রিজভী বলেন, গাজীপুরে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এখন পর্যন্ত যতটুকু খবর আমাদের কাছে এসেছে- গাজীপুরে বাছাই করে করে দলবাজ পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
রিজভী বলেন, আমাদের বিশ্বাস, সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে আসবেন। ভোট যদি কিছুটা সুষ্ঠু ও অবাধ হয়, ধানের শীষের বিজয় ঠেকাতে পারবে না। ভোট যদি সুষ্ঠু হয় ধানের শীষ জিতবে, আর ভোট যদি নির্বাচন কমিশনের ভাষায় চমৎকার হয়- তাহলে ভোট ডাকাতি হবে।
সংবাদ সম্মেলনে এই বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, রোববার রাতেও গাজীপুরে তাদের প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত ১৩ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
প্রতিটি লোকালয়ে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরির কাজ সুচারুরূপে চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। পাইকারি হারে গ্রেফতার, বাসায় বাসায় তল্লাশি, বিভিন্ন কেন্দ্রে ধানের শীষ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির নেতাদের গ্রেফতার, নতুন করে মিথ্যা মামলায় হয়রানি, বিভিন্ন জেলা থেকে নিয়ে আসা ডিবি পুলিশের হানাদারি আগ্রাসন চলছে সমভাবে বলেন রিজভী।
তিনি বলেন, ভোট আগামীকাল হতে যাচ্ছে, সেখানে জনগণ তাদের অবাধে পছন্দ অনুযায়ী প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে- এমন কোনো পরিবেশ এখনো দৃশ্যমান নয়। জনগনের মধ্যে উদ্বেগ ও আশঙ্কা গভীরতর হচ্ছে।
নির্বাচন ঘিরে এ পর্যন্ত বিএনপির দেড় শতাধিক নেতা-কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিযোগ করে অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবি জানান দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।