আপনারা অন্তত ঘরের মধ্যে প্রোগ্রাম করা বন্ধ করেন। যদি ১০ জনও হয় রাজপথে নামুন। নিজেরা সংঘটিত হোন, সম্মিলিত আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো হবে। বললেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু মুক্তি পরিষদ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে হলে আন্দোলনের বিকল্প নেই। ২০১৪ সালের আন্দোলনের আগে আমরা যে আন্দোলন করেছি, সমস্ত রাস্তাঘাট সেদিন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সে আন্দোলন এখন আর হচ্ছে না। ২০১৪ সালের পর আমরা পারিনি, কেন পারিনি তারও নানা কারণ আছে, আমি সেদিকে না যাই।
তিনি বলেন, আমরা রাজপথে জীবন দিতে পারি, কিন্তু যুবকদের তো আসতে হবে আমাদের সঙ্গে? যুবদল, ছাত্রদলকে রাজপথে নেমে আসতে হবে, জনগণের কাছে যেতে হবে।
বিএনপির এ মহাসচিব মনে করেন, জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির মাধ্যমে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এটা সম্ভব হলে সরকার তিন দিনও টিকতে পারবে না।
ফখরুল বলেন, দেশের পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে আসলে গণতন্ত্র মুক্ত করে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আজ জেলে থাকে, হাজার হাজার নেতাকর্মীদের কারাগারে আটক রাখা হয়।
ফখরুল বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব বাংলাদেশে আসছেন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখতে। গোটা বাংলাদেশের জনগণ আজ শরণার্থী হয়ে পড়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিবের উচিত বাংলাদেশের জনগণকে দেখতে আসা।