খালেদা জিয়ার সাজা বাড়ানোর আবেদনের শুনানি ৩ জুলাই

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা বাড়ানো নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ৩ জুলাই দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে ১০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিনের আপিল শুনানির জন্যও একইদিন ধার্য করা হয়েছে।

রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী। এ সময় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল উপস্থিত ছিলেন।

গত ২১ জুন হাইকোর্টের ৫৮টি বেঞ্চ পুনর্গঠন করেন প্রধান বিচারপতি। এ সময় বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে বিচারপতি সহিদুল করিমকে অন্য একটি বেঞ্চে যুক্ত করা হয়। পাশাপাশি বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের সঙ্গে বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে যুক্ত করা হয়। এছাড়াও পুনর্গঠিত এই বেঞ্চে দুদকের মামলার শুনানির ক্ষমতা বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি ড. কে. এম. হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠানো হয়।

দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে করা আমাদের (দুদক) আবেদন হাইকোর্ট শুনতে অপারগতা প্রকাশ করে দুদকের মামলার জন্য নির্ধারিত বেঞ্চে শুনানি করতে বলেন। কিন্তু আমরা উভয়পক্ষের আবেদন একসঙ্গে শুনানি করতে চেয়েছি। তাই এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানাই। এর প্রেক্ষিতেই খালেদা জিয়ার আপিল আবেদনের সঙ্গে আমাদের রিভিশন আবেদন ও অন্য দুই আসামীর আপিল আবেদনের একসঙ্গে শুনানির আদেশ দেন হাইকোর্ট।

এর আগে গত ২৭ জুন পাঁচ বছরের সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্যও মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।

চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। রায়ে বিএনপি চেয়ারপারসন ছাড়াও তারেক রহমানসহ পাঁচজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন আদালত।