বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে যখন গোটা বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। তখন পবিত্র সংসদে দাঁড়িয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী সমস্ত কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে দিলেন। যদি কেউ পবিত্র সংসদে দাঁড়িয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়, সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা তার দায়িত্ব। কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তিনি তার দায়িত্ব পালন করেননি। তিনি ছাত্রদের এই দাবি বাস্তবায়ন না করে প্রতারণা করেছেন।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম কতৃক আয়োজিত কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশ ও ছাত্রলীগের পৈশাচিক হামলার প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদী যুব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম নামের একটি সংগঠন এই সমাবেশের আয়োজন করে।
আমীর খসরু বলেন, আজকে ছাত্রসমাজের চিন্তা-ভাবনা আগামীর বাংলাদেশ থেকে এখানে বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা দেখেছি এই ছাত্র সমাজ ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে তাদের অবদান রয়েছে। আসম আব্দুর রব যিনি বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছেন। যে ছাত্রসমাজ এরশাদবিরোধী আন্দোলন করেছে। যে ছাত্রসমাজ ১/১১ সময় সামরিক শাসনকালে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সেই ছাত্র সমাজ আজকে একটি সন্ত্রাসী দলের নিপীড়নের নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তাই এই দলটিকে আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাসী দল হিসেবে পরিচিত করা উচিত।
আমীর খসরু বলেন, ছাত্ররা আন্দোলন করেছে কোটা সংস্কারের জন্য। যাতে করে বাংলাদেশের আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ উন্মুক্ত থাকে।তিনি বলেন, মূল কথা হচ্ছে মেধার ভিত্তিতে চাকরি অর্থাৎ দেশ পরিচালনার সুযোগ থেকেই মূলত কোটা সংস্কারের বিষয়টি উঠে এসেছে।
তিনি বলেন, যেভাবে সরকারি লোকেরা দিবালোকে ছাত্রদের উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তা অবিশ্বাস্য। ছাত্র সমাজ আন্দোলন করছে একটি মেধাবী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে। এই ছাত্রসমাজ আন্দোলন করছে কোটা সংস্কারের মাধ্যমে আগামীতে মেধাবীরা যেন বাংলাদেশ পরিচালনায় অংশগ্রহণ করতে পারে।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা মেহেদী হাসান পলাশের সভাপতিত্বে এবং সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, মিসেস খালেদা ইয়াসমিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।