ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত করার জন্য ইতোমধ্যে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো এবং এমপিও নীতিমালা ২০১৮ জারি করা হয়েছে। এই নীতিমালা অনুসরণ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) বিষয়ে দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (৪ জুলাই) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
এমপিওভুক্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ লক্ষ্যে অনলাইন অ্যাপলিকেশন গ্রহণ এবং ব্যবস্থাপনা ও বিধি মতে প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের জন্য পৃথক দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ বিষয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার প্রশ্নোত্তরের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে মঙ্গলবার প্রশ্নোত্তরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এমপিওভুক্তির বিষয়ে বলেন, ‘এমপিওভুক্তি একটি খারাপ কার্যক্রম। শিক্ষার উন্নয়নের জন্য এটা কোনও ভালো কার্যক্রম নয়। উপবৃত্তিতে অর্থ দেওয়া যায়, সেটা অনেক ভালো কাজ করে। শিক্ষার উন্নয়নের জন্য যদি আমরা স্কুল ফিডিংয়ের ব্যবস্থা করতে পারি অনেক ভালো হবে।
কেন আপনারা (সংসদ সদস্য) সেগুলোর দিকে নজর দেন না? বারবার এমপিওভুক্তি করতে চেষ্টা করেন। কিন্তু এটা খুব ভালো প্রোগ্রাম নয়। আমার এই অপিনিয়নটা আপনাদের কাছে উপস্থাপন করলাম। আপনারা এখন নিজেরা চিন্তা করে দেখেন।’