বাস্তবধর্মী যে তথ্যগত বিষয় রয়েছে সেগুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আমরা প্রতিবেদন এখনও পাইনি। সেগুলো পেলে আমরা বসবো। আমরা চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব, পারলে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিব।বলেছেন সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার কমিটির মুখপাত্র যুগ্ম-সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন।
রোববার সকালে সচিবালয়ে সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কার বা বাতিলের বিষয়ে সুপারিশ দিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্য বিশিষ্ট গঠিত কমিটি প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। রোববার বেলা সোয়া ১১টার দিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দপ্তরে এ বৈঠক হয়।
মহিউদ্দিন বলেন, আন্দোলনকারীরা না জেনে বিভিন্ন সময়ে নানান দাবি তুলছেন। অনেকে তথ্য না জেনেও আন্দোলন করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চাচ্ছেন এ বিষয়ে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য। সে জন্য এ শক্তিশালী কমিটি গঠন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে গত সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ কমিটি গঠন করে আদেশ জারি করা হয়। কমিটিকে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ আগামী ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে হবে।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব, সরকারি কর্ম কমিশনের সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব। কোটার পরিমাণ ১০ শতাংশে কমিয়ে আনার দাবিতে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করে আসছে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’।