গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফারেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর কারাদণ্ডের রায় দেন বিশেষ আদালত। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে দণ্ড দেওয়া হয়। রায়ের পর থেকেই ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কারাগারেই রয়েছেন খালেদা জিয়া।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে মহানগর নাট্যমঞ্চে দলটির পূর্বঘোষিত প্রতীকী অনশন কর্মসূচি চলছে। সকাল থেকে কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নেতারা বলেন, ‘এ ধরনের অনশন কর্মসূচি পালন করে লাভ হবে না। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে রাজপথে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে আমাদের। তাই আর কালক্ষেপন নয়। সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ করে রাজপথে নামতে হবে।’
এসময় নেতারা বলেন, ‘খালেদা জিয়া কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লেও সরকার প্রতিহিংসার কারণে তাকে চিকিৎসা দিচ্ছে না। আমরা সরকারকে আহ্বান করবো- অনতিবিলম্বে ইউনাইটেড হাসপাতালে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।’
শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশেই কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি নেতাকর্মীরা এই কর্মসূচি পালন করছেন। আজকের এই কর্মসূচিতে বিএনপি ছাড়াও ২০ দলীয় জোটসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা, পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবীসহ বিশিষ্ট নাগরিকদের এই কর্মসূচির সঙ্গে একাত্বতা ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
ঢাকার অনশন কর্মসূচিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, দলের ভাইস চেয়ারম্যান ড. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ হোসেন, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, কবির মুরাদ, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইমরান সালেক প্রিন্স, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমূখ।
স্থায়ী কমিটির নেতাদের মধ্যে আরও আছেন- মির্জা আব্বাস গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ২০ দলীয় জোটের জামায়াতের অধ্যাপক মজিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির মোস্তফা জামাল হায়দার, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। বুদ্ধিজীবী রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. এমাজউদ্দীন আহমদ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করছেন বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম।