তিন সিটিতে প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে প্রচারণা শুরু

Election Commission Bangladesh-বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন
Election Commission Bangladesh-বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন

আজ মঙ্গলবার থেকে রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল এই তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়র ও কাউন্সিলর পদে নির্বাচনি প্রচারণা শুরু হচ্ছে। সকাল ১০টায় প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

তিন সিটিতে মেয়র পদে ১৮ জন ও কাউন্সিলর পদে মোট ৫৩০ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য এই তিন সিটি নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি চূড়ান্ত করছে ইসি।

এ বিষয়ে ইসি সচিব মো. হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘১০ জুলাই প্রতীক বরাদ্দের মধ্যে দিয়ে তিন সিটিতে শুরু হচ্ছে নির্বাচনী প্রচারণা। নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে যেন কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া আছে।’একইসঙ্গে নির্বাচনের সব প্রার্থীদেরও নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

ইসি সূত্র জানায়, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ও প্রত্যাহার শেষে তিন সিটিতে মেয়র পদে চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৮ জন। এছাড়া, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৮১ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৪৯ জনসহ মোট ৫৩০ জন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। সব মিলিয়ে তিন সিটিতে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৫৪৮ জন। এদিকে, নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলেও কাউন্সিলর পদে প্রার্থিরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বতন্ত্র প্রতীকে।

ইসি জানিয়েছে, রাজশাহী, সিলেট ও বরিশালের আঞ্চলিক নির্বাচনী কর্মকর্তাদের তিন সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়াও নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে রাজশাহীতে ১০ জন, বরিশালে ১০ জন এবং সিলেট সিটি করপোরেশনে ৯ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

রাজশাহী
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (রাসিক) মেয়র পদে প্রার্থী পাঁচজন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের (নৌকা) এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, বিএনপির (ধানের শীষ) মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (কাঁঠাল) মো. হাবিবুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের (হাতপাখা) মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ও গণসংহতি আন্দোলনের (হাতি) অ্যাডভোকেট মুরাদ মুর্শেদ।

এই সিটিতে সাধারণ ওয়ার্ডে ১৬০ জন কাউন্সিলর প্রার্থী এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৫২ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১৮ হাজার ১৩৮ জন। এই সিটিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন সৈয়দ আমিরুল ইসলাম।

সিলেট
সিলেট সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১২৭ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬২ জনসহ মোট ১৯৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের বদরউদ্দিন আহমেদ কামরান, বিএনপির মো. আরিফুল হক, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজামান সেলিম, জামায়াত ইসলামীর এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিপিবি-বাসদের আবু জাফর, ইসলামী শাসনতন্ত্রের প্রার্থী ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এহসানুল হক তাহের। নির্বাচনে মোট ভোটার ৩ লাখ ২১ হাজার ৭৩২ জন। রিটানিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন মো. আলিমুজ্জামন।

বরিশাল
বরিশালে মেয়ার পদে ছয় জন এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১২৯ জনসহ মোট ১৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের (নৌকা) সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, বিএনপির (ধানের শীষ) মজিবর রহমান সারোয়ার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের (হাতপাখা) মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব, সিপিবির (কাস্তে) অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, বাসদের ডা. মণীষা চক্রবর্তী ও জাতীয় পার্টির (লাঙল) ইকবাল হোসেন।

এই সিটিতে ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৯৪ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন মুজিবুর রহমান। বরিশাল সিটিতে মোট ভোটার ২ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ২১ হাজার ৩৩২ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ২০ হাজার ৬২৭ জন।